ঢাকা, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

পতন ও শেয়ারবাজারের ধস: ভারতের অর্থনীতি চলছে দ্বিমুখী সংকটে

২০২৫ জানুয়ারি ১৪ ১১:৩৯:৫৫
পতন ও শেয়ারবাজারের ধস: ভারতের অর্থনীতি চলছে দ্বিমুখী সংকটে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের অর্থনীতি বর্তমানে দুটি বড় সংকটে পড়ে গেছে: একটি রুপি মুদ্রার দরপতন এবং অপরটি শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে মুদ্রা বেরিয়ে যাওয়া। ১৩ জানুয়ারি, সোমবার, উভয় ক্ষেত্রেই বড় ধরনের পতন লক্ষ্য করা গেছে, যা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

গতকাল (১৩ জানুয়ারি) রুপি মুদ্রার মান ৬৬ পয়সা পতিত হয়ে ৮৬.৭০ রুপি ডলারের বিপরীতে পৌঁছেছে। এটি গত দুই বছরে এক দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই পতনের পেছনে মূল কারণ হিসেবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ানো এবং ভারতের রপ্তানি খাতে কিছু চাপের সৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি রয়েছে।

বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি ভারতের আমদানির খরচও বাড়িয়েছে, কারণ তেল আমদানিতে ডলার প্রয়োজন হয়। এছাড়া, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে শেয়ার বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে, যার প্রভাব ভারতের শেয়ারবাজারে পড়েছে।

ভারতের শেয়ারবাজারও একই দিনে ব্যাপক পতনের মুখে পড়েছে। সেনসেক্স সূচক ১,০৪৯.৯০ পয়েন্ট কমে ৭৬,৩৩০ পয়েন্টে পৌঁছেছে, যা গত কয়েক দিনের ধারাবাহিক পতন দেখাচ্ছে। এই পতনের কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রির হিড়িক শুরু করেছেন, কারণ তারা ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির কারণে ভারতীয় অর্থনীতিতে সমস্যা হতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন।

তবে ১৪ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সকাল থেকে রুপি মুদ্রার মান কিছুটা বেড়েছে এবং শেয়ারবাজারেও সূচক কিছুটা উর্ধ্বমুখী হয়েছে। রুপি এখন ৮৬.৫৩ রুপি প্রতি ডলারে অবস্থান করছে। কিন্তু এর সঙ্গে শেয়ারবাজারের কিছু উত্থানও দেখা গেছে, সেনসেক্স ও নিফটি সূচক সামান্য বেড়েছে।

ভারতের রপ্তানিকারক সংস্থা "ফিয়ো" জানিয়েছে, অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় ভারতের মুদ্রার পতন কম হলেও এটি এখনও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিশেষত, ভারতের আমদানির ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে। অনেক পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করা হয়, যার ফলে রুপি কমে যাওয়ায় এসব পণ্যের দাম বাড়বে এবং এর প্রভাব ভারতের মূল্যস্ফীতিতে পড়বে।

ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (আরবিআই) বিদেশি মুদ্রা বাজারে হস্তক্ষেপ করলেও রুপি পতন থামানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাদের কাছে পর্যাপ্ত ডলার না থাকলে মুদ্রার মান রক্ষা করা আরও কঠিন হবে।

এম এন /

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে