ঢাকা, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

২০ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে 

২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ০৭:০২:৪৭
২০ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে 

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পূর্বাঞ্চলে ট্রেন ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। টিকিটের মূল দাম অপরিবর্তিত রেখে ‘পন্টেজ চার্জ’ সমন্বয়ের মাধ্যমে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার পথ বেছে নেওয়া হয়েছে। এতে বিভিন্ন ট্রেনে বিভিন্ন আসনের ভাড়া ৫ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২২৬ টাকা পর্যন্ত বাড়ছে। এই নতুন ভাড়া ২০ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ভাষায়, ‘পন্টেজ চার্জ’ হলো রেললাইনের ওপর থাকা সেতু বা অনুরূপ স্থাপনা পারাপারের জন্য টিকিটের সঙ্গে যুক্ত হওয়া অতিরিক্ত মাশুল। নতুন নিয়মে ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতুকে আড়াই কিলোমিটারের সমান দূরত্ব হিসেবে গণনা করা হবে, যার ফলে মোট দূরত্ব বাড়িয়ে ভাড়া নির্ধারণ করা হচ্ছে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল গত মে মাসেই ভাড়া বৃদ্ধির জন্য এই নতুন চার্জের কাঠামো পুনর্নির্ধারণের উদ্যোগ নেয়। প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করে ডিসেম্বর মাসে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চল নিয়ে গঠিত পূর্বাঞ্চল সাধারণ এবং আন্তনগর—দুই ধরনের ট্রেনের জন্যই নতুন ভাড়া তালিকা প্রণয়ন করেছে।

গত ২৫ মে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের উপস্থিতিতে আয় বৃদ্ধি ও ব্যয় কমানো নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সরাসরি ভাড়া না বাড়িয়ে ‘পন্টেজ চার্জ’ সমন্বয়ের মাধ্যমে আয়ের নতুন পথ তৈরি করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক বিভাগ কাজ শুরু করে। উল্লেখযোগ্যভাবে, সর্বশেষ রেলভাড়া বৃদ্ধি হয়েছিল ২০১৬–১৭ অর্থবছরে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২৫ নভেম্বর রেলের উপপরিচালক (মার্কেটিং) স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় ২০ ডিসেম্বর থেকে নতুন ভাড়া চালুর কথা বলা হয়। পরে ৮ ডিসেম্বর সহকারী প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা এটি জনস্বার্থে প্রচারের অনুমোদন দেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ছয়টি প্রধান রুটে মোট ১১টি সেতুর ওপর নতুন পন্টেজ চার্জ প্রযোজ্য হবে। এসব রুট হলো: ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-সিলেট, চট্টগ্রাম-সিলেট, চট্টগ্রাম-জামালপুর ও ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মেইল ট্রেনের নতুন ভাড়া দাঁড়াচ্ছে ১৫০ টাকা, যা আগের তুলনায় ১৫ টাকা বেশি। শোভন চেয়ারের ভাড়া ৪৫০ টাকা এবং স্নিগ্ধার ভাড়া হবে ৮৫৭ টাকা। বিরতিহীন ট্রেন—সুবর্ণ বা সোনার বাংলায়—স্নিগ্ধার নতুন মূল্য হবে ৯৪৩ টাকা। কক্সবাজার ও পর্যটক এক্সপ্রেসে এসি বার্থ সবচেয়ে বেশি ২২৬ টাকা বাড়িয়ে দাঁড়াবে ২,৬৫৬ টাকায়।

ঢাকা-সিলেট রুটে মেইল ট্রেনের ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে ১৪০ টাকা। স্নিগ্ধার ভাড়া ৭৮৮ টাকা এবং এসি বার্থের নতুন ভাড়া ১,৪৬৫ টাকা।

চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে স্নিগ্ধা ভাড়া ৯০৯ টাকা এবং এসি বার্থের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১,৬৭৮ টাকায়।

চট্টগ্রাম-জামালপুর রুটে মেইল ট্রেনের ভাড়া হবে ১৮৫ টাকা। স্নিগ্ধা ১,০৪১ টাকা এবং এসি সিটের ভাড়া ১,২৫৪ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।

ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে মেইল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। তবে কমিউটার ট্রেনের ভাড়া ৫ টাকা বাড়িয়ে ১১০ টাকা করা হচ্ছে এবং এসি বার্থের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২৪ টাকা।

রেলের পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারি নির্দেশনার ভিত্তিতেই ১০০ মিটারের বেশি পুরনো ও বড় সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় মেটাতে পন্টেজ চার্জ সমন্বয় করা হয়েছে। তার দাবি, সব রুটেই ভাড়া বাড়েনি এবং যেসব রুটে বাড়ছে, সেগুলোর ক্ষেত্রেও বৃদ্ধি খুব বেশি নয়।দেশের পূর্বাঞ্চলে ট্রেন ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। টিকিটের মূল দাম অপরিবর্তিত রেখে ‘পন্টেজ চার্জ’ সমন্বয়ের মাধ্যমে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার পথ বেছে নেওয়া হয়েছে। এতে বিভিন্ন ট্রেনে বিভিন্ন আসনের ভাড়া ৫ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২২৬ টাকা পর্যন্ত বাড়ছে। এই নতুন ভাড়া ২০ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ভাষায়, ‘পন্টেজ চার্জ’ হলো রেললাইনের ওপর থাকা সেতু বা অনুরূপ স্থাপনা পারাপারের জন্য টিকিটের সঙ্গে যুক্ত হওয়া অতিরিক্ত মাশুল। নতুন নিয়মে ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতুকে আড়াই কিলোমিটারের সমান দূরত্ব হিসেবে গণনা করা হবে, যার ফলে মোট দূরত্ব বাড়িয়ে ভাড়া নির্ধারণ করা হচ্ছে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল গত মে মাসেই ভাড়া বৃদ্ধির জন্য এই নতুন চার্জের কাঠামো পুনর্নির্ধারণের উদ্যোগ নেয়। প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করে ডিসেম্বর মাসে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চল নিয়ে গঠিত পূর্বাঞ্চল সাধারণ এবং আন্তনগর—দুই ধরনের ট্রেনের জন্যই নতুন ভাড়া তালিকা প্রণয়ন করেছে।

গত ২৫ মে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের উপস্থিতিতে আয় বৃদ্ধি ও ব্যয় কমানো নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সরাসরি ভাড়া না বাড়িয়ে ‘পন্টেজ চার্জ’ সমন্বয়ের মাধ্যমে আয়ের নতুন পথ তৈরি করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক বিভাগ কাজ শুরু করে। উল্লেখযোগ্যভাবে, সর্বশেষ রেলভাড়া বৃদ্ধি হয়েছিল ২০১৬–১৭ অর্থবছরে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২৫ নভেম্বর রেলের উপপরিচালক (মার্কেটিং) স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় ২০ ডিসেম্বর থেকে নতুন ভাড়া চালুর কথা বলা হয়। পরে ৮ ডিসেম্বর সহকারী প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা এটি জনস্বার্থে প্রচারের অনুমোদন দেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ছয়টি প্রধান রুটে মোট ১১টি সেতুর ওপর নতুন পন্টেজ চার্জ প্রযোজ্য হবে। এসব রুট হলো: ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-সিলেট, চট্টগ্রাম-সিলেট, চট্টগ্রাম-জামালপুর ও ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মেইল ট্রেনের নতুন ভাড়া দাঁড়াচ্ছে ১৫০ টাকা, যা আগের তুলনায় ১৫ টাকা বেশি। শোভন চেয়ারের ভাড়া ৪৫০ টাকা এবং স্নিগ্ধার ভাড়া হবে ৮৫৭ টাকা। বিরতিহীন ট্রেন—সুবর্ণ বা সোনার বাংলায়—স্নিগ্ধার নতুন মূল্য হবে ৯৪৩ টাকা। কক্সবাজার ও পর্যটক এক্সপ্রেসে এসি বার্থ সবচেয়ে বেশি ২২৬ টাকা বাড়িয়ে দাঁড়াবে ২,৬৫৬ টাকায়।

ঢাকা-সিলেট রুটে মেইল ট্রেনের ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে ১৪০ টাকা। স্নিগ্ধার ভাড়া ৭৮৮ টাকা এবং এসি বার্থের নতুন ভাড়া ১,৪৬৫ টাকা।

চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে স্নিগ্ধা ভাড়া ৯০৯ টাকা এবং এসি বার্থের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১,৬৭৮ টাকায়।

চট্টগ্রাম-জামালপুর রুটে মেইল ট্রেনের ভাড়া হবে ১৮৫ টাকা। স্নিগ্ধা ১,০৪১ টাকা এবং এসি সিটের ভাড়া ১,২৫৪ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।

ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে মেইল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। তবে কমিউটার ট্রেনের ভাড়া ৫ টাকা বাড়িয়ে ১১০ টাকা করা হচ্ছে এবং এসি বার্থের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২৪ টাকা।

রেলের পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারি নির্দেশনার ভিত্তিতেই ১০০ মিটারের বেশি পুরনো ও বড় সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় মেটাতে পন্টেজ চার্জ সমন্বয় করা হয়েছে। তার দাবি, সব রুটেই ভাড়া বাড়েনি এবং যেসব রুটে বাড়ছে, সেগুলোর ক্ষেত্রেও বৃদ্ধি খুব বেশি নয়।

সিরাজ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে