ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১৮:২৪:১০
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট, এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভোট একই দিনে অনুষ্ঠানের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে এই ভোটগ্রহণ করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন নির্বাচনের এই তফসিল ঘোষণা করেন। ওই দিন সকাল সাড়ে সাতটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে।

তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা যাবে ১১ জানুয়ারি এবং আপিল নিষ্পত্তি হবে ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ জানুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচার শুরু হবে ২২ জানুয়ারি, যা শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। ১২ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ৩০০ সংসদীয় আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার ১৬ মাসের মাথায় ইসি এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলো। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার দাবি উঠলেও গত ৬ জুন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের কথা বলেছিলেন। পরে গত ১৩ জুন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের বিষয়ে দুজন একমত হন। এর ধারাবাহিকতায় সরকার বারবার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচনের কথা বলে আসছিল।

এবারের নির্বাচনে মোট ১২ কোটি ৭৬ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারেরাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন এবং এখন পর্যন্ত ৩ লাখের বেশি প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন করেছেন। ইসিতে নিবন্ধিত দলগুলোই কেবল দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। বর্তমানে ইসিতে ৫৬টি নিবন্ধিত দল আছে, তবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে। নিবন্ধন স্থগিত থাকা দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না।

এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হওয়ায় সময় ব্যবস্থাপনাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ইসি। সময় ব্যবস্থাপনার জন্য এবার ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভোটকেন্দ্রে গোপন কক্ষের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। অন্যদিকে, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সরকার জানিয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর সশস্ত্র বাহিনীসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সব বাহিনী নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর প্রায় ৯ লাখ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন, যা এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে রেকর্ডসংখ্যক দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

এমজে/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে