ঢাকা, সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

বকেয়া বেতনের দাবিতে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকে শ্রমিক বিক্ষোভ

২০২৪ আগস্ট ১৯ ১৬:২৮:৩৯
বকেয়া বেতনের দাবিতে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকে শ্রমিক বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজে বকেয়া বেতন আদায় এবং কারখানা খুলে দিতে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা। সোমবার (১৯ আগস্ট) গাজীপুরে অবস্থিত কোম্পানিটির কারখানা প্রাঙ্গনে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় তাদের ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, মালিক চোরা গেলি কই’; ‘মালিকের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’; ‘মালিকের চামচারা, হুশিয়ার সাবধান’;‘দাবি আদায় না হলে ঘরে ফিরে যাবো না’; ‘বেতন-ভাতা না নিয়ে, ঘরে ফিরে যাবো না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

কোম্পানি সচিব জামালউদ্দিন ভুঁইয়া এ বিষয়ে বলেন, আমরা শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়ে অবগত। শ্রমিকরা কত মাসের বকেয়া বেতন পাবেন তা আমার জানা নাই। তবে কোম্পানির কাছে তারা বকেয়া বেতন পানে। কোম্পানির কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তাদের বেতন পরিশোধ করা সম্ভব হইনি। তিনি বলেন, আমাদের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ বর্তমানে দেশের বাহিরে আছেন। তাদের সাথে কথা বলে শিগগিরই আমরা তাদের দাবি-দাওয়া পূরণে একটা সিদ্ধান্তে আসার চেষ্টা করবো।

গ্যাস-বিদ্যুতের জোগান কমে আসার কারণ দেখিয়ে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এখনো গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট কাটিয়ে উঠতে পারিনি। এ সমস্যাটা কাটিয়ে উঠতে পারলে নতুন করে উৎপাদন শুরু করবো।

১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ বর্তমানে জেড ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী কোম্পানিটিকে ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠোনো হয়। বিএসইসির আইন অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আয়োজনে ব্যর্থতা, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে উৎপাদন বন্ধ ও পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ পরিশোধিত মূলধনকে ছাড়িয়ে গেছে এমন কোম্পানিগুলোকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়। একইসাথে তাদের বিভিন্ন ব্রোকার হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এদিকে উৎপাদনহীন এই কোম্পানিতে লোকসান ঝেঁকে বসেছে। ২০২২ হিসাব বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ২ টাকা ৯৯ পয়সা। গত ২০২৩ হিসাব বছর শেষে এই লোকসানের পরিমাণ আরও সাড়ে ৬ গুণ বেড়েছে। সমাপ্ত বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১৯ টাকা ০৩ পয়সা। এছাড়া চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৩১ পয়সায়।

এস/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে