ঢাকা, রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

বিএনপিরই কিছু নেতাকর্মী আজ আমাকে ধাক্কা দিলো

২০২৫ আগস্ট ২৪ ১৬:২১:৫১
বিএনপিরই কিছু নেতাকর্মী আজ আমাকে ধাক্কা দিলো

নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সীমানা পুনর্নির্ধারণ শুনানিতে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আলোচিত নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের সীমানা সংক্রান্ত শুনানিতে এ ঘটনা ঘটে। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রুমিন ফারহানা।

শুনানিতে রুমিন ফারহানা নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবিত খসড়া সীমানার পক্ষে বক্তব্য রাখেন। অন্যদিকে, খসড়ার বিপক্ষে থাকা পক্ষগুলো বিজয়নগরের তিনটি ইউনিয়ন—বুধন্তী, চান্দুড়া ও হরষপুর—ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ থেকে বাদ দিয়ে আগের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে রাখার দাবি জানান। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।

রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেন, তাকে শারীরিকভাবে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন,"আমি আশা করেছিলাম, ইসির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে এসে কেউ গুন্ডামি করবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি দেখলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ২০-২৫ জন লোক নিয়ে এসে এখানে অশোভন আচরণ করলেন। আমি যখন বক্তব্য দিচ্ছিলাম, তারা চিৎকার করে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এমনকি একপর্যায়ে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।"

তিনি আরও বলেন,"যাদের জন্য গত ১৫ বছর লড়েছি, সেই বিএনপিরই কিছু নেতাকর্মী আজ আমাকে ধাক্কা দিলো। ধাক্কার বদলে ধাক্কা তো আসবেই। আমি কোনো গুন্ডা নিয়ে আসিনি, আমি আইনের ভাষায় কথা বলতে এসেছিলাম।"

শুনানিতে ইসির পক্ষ থেকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি শুনানির শুরুতেই জানান, সীমানা নির্ধারণে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছে। তবে হাতাহাতির ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়লে ইসি সচিব অনুষ্ঠান স্থগিত করেন এবং উভয় পক্ষকে শুনানিকক্ষ ত্যাগের অনুরোধ জানান।

পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান

পক্ষে: ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, "২০০৮ সালের আগে যে সীমানা ছিল, সেখানেই ফিরে যাওয়া উচিত। সেটাই ছিল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইচ্ছা।"

বিপক্ষে: বিজয়নগরের তিনটি ইউনিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ তে অন্তর্ভুক্ত করায় স্থানীয় প্রতিনিধিরা এর বিরোধিতা করেন। তারা বলেন,"আমরা আমাদের উপজেলার অখণ্ডতা চাই। আলাদা করে কাটা কোনো ইউনিয়ন আমাদের গ্রহণযোগ্য নয়।"

শেষ পর্যন্ত শুনানি কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপস্থিত ছিলেন ইসির কর্মকর্তারা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে