ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

বড় অংকের জরিমানার ঝুঁকিতে যুক্তরাজ্যের ব্যবসা

২০২৪ মার্চ ১৯ ২২:১৪:৩৩
বড় অংকের জরিমানার ঝুঁকিতে যুক্তরাজ্যের ব্যবসা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :বিশ্বের অনেক দেশই পণ্য উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পদ্ধতির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে। তবে বিপরীতে মিথ্যা বা অস্পষ্ট ঘোষণাও কম নয়।

এমন একটি আলোচিত শব্দ হলো ‘গ্রিনওয়াশিং’, যা প্রমাণিত হলে যুক্তরাজ্যে কোনো ব্যবসার বৈশ্বিক টার্নওভারের এক-দশমাংশ জরিমানা হতে পারে।

ইউরো নিউজের খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে প্রায় অর্ধেক বড় ব্যবসা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। চলতি বছর যুক্তরাজ্যে গড়ে ১০টি বড় ব্যবসার মধ্যে চারটি গ্রিনওয়াশিংয়ের জন্য মোটা জরিমানার সম্মুখীন হতে পারে।

কোনো কোম্পানির পণ্যকে প্রকৃত অবস্থার তুলনায় বেশি পরিবেশবান্ধব দাবি করাকে গ্রিনওয়াশিং বলে। অনেক ক্ষেত্রে অপ্রমাণিত তথ্যের ভিত্তিতে গ্রাহকদের প্রতারিত করা হয়।

তবে কোম্পানিগুলো উৎপাদন প্রক্রিয়ায় পরিবেশের ক্ষতি করলেও লেভেলে বিভ্রান্তিকর তথ্য যুক্ত করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গ্রিনওয়াশিং ইচ্ছাকৃত নাও হতে পারে।

কমপ্লায়েন্স টেকনোলজি প্লাটফর্ম কমপেয়ার এথিক্সের নতুন বিশ্লেষণ অনুসারে, যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীরা এখনো পরিবেশগত ঝুঁকি কমানোর দিকে মনোযোগ দেয়নি। কিন্তু এখনই পণ্য উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা উচিত তাদের।

২০২০ সালে বৈশ্বিক ভোক্তা সুরক্ষা সংস্থাগুলো এ বিষয়ে একজোট হয় ও একটি স্বাধীন জরিপ পরিচালনা করে। সেখানে দেখা যায়, ৪০ শতাংশ আন্তর্জাতিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। গত বছর নেসলে, কোকা-কোলা ও বুহুর মতো কোম্পানির ওপর নজর দেয় যুক্তরাজ্যের সিএমএ। ২৮ মাসের অনুসন্ধানে ১৫ লাখ ইউরোর বেশি অর্থ ও আনুমানিক ২৯ হাজার ৪৭১ কর্মঘণ্টা ব্যয় করে সংস্থাটি।

পরিবেশগত দাবির ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রমাণ করতে হয়। সিএমএ চাইলে কোম্পানির বৈশ্বিক টার্নওভারের ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করার ক্ষমতা রাখে।

তবে ডিজিটাল মার্কেটস, কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজিউমারস বিল কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আগামী কয়েক মাস আদালতের মাধ্যমে এটি কার্যকর হবে।

সম্প্রতি গ্রিনওয়াশিংয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এনেছে ইইউ। এ কারণে যুক্তরাজ্যের খুচরা খাত বিদেশে রফতানির ক্ষেত্রে ১২-৩৬ মাসের মধ্যে ৭০টিরও বেশি নতুন নিয়মের মুখোমুখি হবে।

কমপেয়ার এথিক্সের সিইও অ্যাবি মরিস জানান, পরিবেশগত দাবি যদি যাচাই সম্ভব না হয়, তবে অচিরেই যুক্তরাজ্যে ১৬ লাখ পণ্য সীমান্তে আটকে যাবে।

ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলো করপোরেট সাসটেইনেবিলিটি ডিউ ডিলিজেন্স ডিরেক্টিভ (সিএসডিডিডি) সমর্থন করার জন্য ভোট দিয়েছে। এর মাধ্যমে পরিবেশগত ও মানবাধিকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য দায়ী কোম্পানিকে চিহ্নিত করবে তারা।

কিছু ক্ষেত্রে এসব ব্যবসার টার্নওভার ৪৫ কোটি ইউরোর বেশি। এ কোম্পানিগুলো বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে পণ্য উৎপাদন করে। সেক্ষেত্রেও গ্রিনওয়াশিংয়ের নিক্তিতে মাপা হবে তাদের।

যুক্তরাজ্যকে সতর্ক করে অ্যাবি মরিস বলেন, ‘এ মুহূর্তে যুক্তরাজ্যের বাইরে পণ্য যাওয়ার আগে প্রতিটি পরিবেশগত দাবি যাচাই করা দরকার। কিন্তু বাস্তবতা হলো এটা হচ্ছে না।’ এ হিসাবে ১২-৪৮ মাসের মধ্যে কোম্পানিগুলোর জরিমানায় পড়ার হার বাড়তে পারে।

শেয়ারবাজার, ১৯ মার্চ ২০২৪

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে