ঢাকা, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

ইসলামী ব্যাংকিংয়ে ‘মুনাফা’ এবং সাধারণ সুদের মধ্যে বড় পার্থক্য

২০২৫ নভেম্বর ০১ ১৬:২৯:৪৭
ইসলামী ব্যাংকিংয়ে ‘মুনাফা’ এবং সাধারণ সুদের মধ্যে বড় পার্থক্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংকে টাকা রাখলেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টাকার সঙ্গে যুক্ত হয় অতিরিক্ত অর্থ, যা আমরা সাধারণভাবে সুদ বা ইসলামী ব্যাংকে মুনাফা নামে জানি। তবে এই সুদ বা মুনাফা কীভাবে হিসাব করা হয় তা অনেকের কাছে রহস্য। আসুন সহজভাবে দেখে নিই:

১. সুদ কী?

যখন আপনি ব্যাংকে টাকা রাখেন, ব্যাংক সেই টাকা ব্যবহার করে ঋণ বা ব্যবসায়। নির্দিষ্ট সময় শেষে ব্যাংক আপনাকে অতিরিক্ত অর্থ দেয়—এটাই সুদ।

২. সুদের প্রধান দুই পদ্ধতি

(ক) সরল সুদ:

মূল টাকার ওপর নির্দিষ্ট হারে সুদ গণনা হয়।

সময় যত বাড়ে, সুদও বৃদ্ধি পায়, কিন্তু মূল টাকা অপরিবর্তিত থাকে।

উদাহরণ: ১০ হাজার টাকার ওপর ১০% বার্ষিক সুদ হলে, ১ বছরে সুদ হবে ১ হাজার, ২ বছরে ২ হাজার।

(খ) চক্রবৃদ্ধি সুদ:

প্রথম বছরের সুদ মূল টাকার সঙ্গে যোগ হয়ে পরের বছরের নতুন মূল তৈরি করে।

ফলে সময়ের সঙ্গে সুদ বৃদ্ধি পায় দ্রুত।

উদাহরণ: প্রথম বছরে ১০ হাজার টাকার ওপর ১ হাজার সুদ, দ্বিতীয় বছরে ১১ হাজার টাকার ওপর সুদ গণনা হবে।

৩. চক্রবৃদ্ধি সুদ ব্যবহারের কারণ

দীর্ঘমেয়াদে সঞ্চয়কারীরা বেশি লাভ পান।

ব্যাংকের হিসাব স্বচ্ছ ও নিয়মমাফিক হয়।

মাসিক, ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে সুদ যোগ করা যায়।

বেশিরভাগ মেয়াদি আমানত (এফডিআর, ডিপিএস, সঞ্চয় স্কিম) চক্রবৃদ্ধি পদ্ধতিতে হিসাব হয়।

৪. নমিনাল ও কার্যকর সুদ

নমিনাল সুদ: ব্যাংক ঘোষিত কাগজে কলমে হার, যেখানে চক্রবৃদ্ধি ধরা হয় না।

কার্যকর সুদ: শেষ পর্যন্ত গ্রাহকের হাতে আসা প্রকৃত হার, যা চক্রবৃদ্ধির প্রভাব অন্তর্ভুক্ত করে।

৫. ইসলামী ব্যাংকিংয়ে মুনাফা

ইসলামী ব্যাংকে “সুদ” শব্দ ব্যবহৃত হয় না। এখানে গ্রাহক ব্যাংকের ব্যবসায় অংশীদার হন এবং ব্যবসায়িক মুনাফার একটি অংশ পান।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে