ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র উধাও, তিন জনের হিসাব জব্দ

২০২৫ অক্টোবর ৩০ ১১:২১:০৫
কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র উধাও, তিন জনের হিসাব জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সঞ্চয়পত্রের সার্ভারে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তিনটি ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে সঞ্চয়পত্র কেনাবেচায় যুক্ত তিন কর্মকর্তার কম্পিউটারও জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গঠিত তদন্ত কমিটি এসব ব্যবস্থা নেয়। এ ঘটনার পর জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের এনএসসি সিস্টেমের নিরাপত্তা আরও জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে কেনা ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র জালিয়াত চক্র ভুয়া প্রক্রিয়ায় তুলে নেয়। অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব শাখা থেকে সঞ্চয়পত্রটি কেনা হলেও টাকা স্থানান্তর করা হয় এনআরবিসি ব্যাংকের দিনাজপুর উপশাখার গ্রাহক আরিফুর রহমানের অ্যাকাউন্টে। পরে তিনি ঢাকার শ্যামলী শাখা থেকে সেই অর্থ নগদ তুলে নেন।

একই পদ্ধতিতে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এক অ্যাকাউন্টে ৩০ লাখ এবং এনআরবি ব্যাংকের মাধ্যমে আরও ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কতায় ওই লেনদেনগুলো আটকে যায়।

বিএফআইইউ পরে সংশ্লিষ্ট তিনটি হিসাব জব্দ করে।

কীভাবে এই জালিয়াতি সংঘটিত হলো, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সার্ভার হ্যাক অথবা কেন্দ্রীয় সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত কোনো ভেতরের ব্যক্তি এতে জড়িত থাকতে পারেন।

কারণ, নিয়ম অনুযায়ী সঞ্চয়পত্র সংক্রান্ত লেনদেনের সময় গ্রাহকের নিবন্ধিত নম্বরে ওটিপি (One Time Password) পাঠানো হয়। অথচ এই তিন ক্ষেত্রে কোনো ওটিপি যায়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন,“কীভাবে জালিয়াতি হয়েছে, তা উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। যে তিনটি অ্যাকাউন্টে টাকা গেছে, তাদের শনাক্ত করে মামলা করা হবে।”

মতিঝিল থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংক ও অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকদের ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭১ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিদ্যমান। দেশজুড়ে প্রায় ১২ হাজার শাখা থেকে এসব সঞ্চয়পত্র কেনা ও ভাঙানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকেই জালিয়াতির ঘটনা শনাক্ত হয়েছে।

অন্যান্য স্থানে একই ধরনের অনিয়ম ঘটেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে।

ঘটনার গভীরে যেতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন, পরিকল্পনা ও টিডিএম) মো. হাসানুল মতিনকে প্রধান করে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

মুয়াজ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে