ঢাকা, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

শেয়ার কারসাজিতে শাস্তির মুখে পড়ছেন আইসিবির কর্মকর্তারাও

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১২ ২২:৩৫:৫৬
শেয়ার কারসাজিতে শাস্তির মুখে পড়ছেন আইসিবির কর্মকর্তারাও

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে শেয়ার কারসাজিতে রাষ্ট্রায়াত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর কর্মকর্তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততা ধরা পড়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, কিছু কর্মকর্তা ফরচুন শুজ লিমিটেডের শেয়ার বেচাকেনায় অংশ নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন, যার ফলে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৪৪ কোটি টাকার বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিএসইসি সূত্র জানিয়েছে, এই কারসাজিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক আবুল খায়ের হিরু, যার সহযোগিতায় আইসিবির কর্মকর্তারা পরিকল্পিতভাবে শেয়ার লেনদেন করেছেন।

বিষয়টি তদন্তের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে (এফআইডি) প্রেরণ করা হবে। চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করা হবে।

প্রসঙ্গত, ফরচুন শুজ লিমিটেডের শেয়ার অতিমূল্যে কেনার ঘটনায় আইসিবির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেনও সরাসরি জড়িত ও সুবিধাভোগী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। যেহেতু আইসিবি সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিএসইসি নিজে সরাসরি শাস্তি আরোপ করতে পারছে না, তাই সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে পাঠানো হবে।

অভিযুক্ত এমডি আবুল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “আইসিবির শেয়ার কেনার প্রক্রিয়ায় তিনটি স্তর—ডিপার্টমেন্ট, ডিভিশন ও কমিটি—মিলিত থাকে। সব সুপারিশ শেষ হলে এমডির অনুমোদনের জন্য যায়। বিষয়টি পরিচালনা পর্ষদ পর্যন্ত যাচাই করা হয়েছে। এখানে কোনো পলিসি বা সিস্টেম ভায়োলেশন হয়নি।”

বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজশ এবং প্রভাবশালী কারসাজি শেয়ারবাজারের স্বচ্ছতা নষ্ট করেছে। এই ধরনের ব্যাখ্যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনঃস্থাপন করতে যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে, খান ব্রাদার্সের ১ কোটি ১০ লাখ শেয়ার মাত্র ৩৫ লাখ টাকায় এবং বেক্সিমকো লিমিটেডের কোটি শেয়ার মাত্র ৪৫ টাকায় কারসাজিকারীদের কাছে বিক্রি করার ঘটনায় এই ঝুঁকি আরও বেড়ে গেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আলোচিত শেয়ারগুলোর সঙ্গে অন্যান্য শেয়ারও কারসাজিকারীদের সঙ্গে আঁতাত করে কম দামে বিক্রি করা এবং বেশি দামে ফের কেনা হয়েছে—এ ধরনের কার্যকলাপের নিরপেক্ষ ও গভীর তদন্ত এখন অত্যন্ত জরুরি। বিশেষভাবে, খান ব্রাদার্স ও বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার পানির দামে বিক্রি করা এবং ফরচুন সুজের শেয়ার ১২৫ টাকায় আকাশছোঁয়া দামে কারসাজিকারীদের কাছ থেকে কেনা—এই সীমাহীন দুর্নীতির ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখা একান্তভাবে প্রয়োজন।

মামুন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে