ঢাকা, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিনিয়োগ বাড়ল ১১৪ শতাংশ

২০২৫ জুলাই ১১ ১৫:৫৭:২২
বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিনিয়োগ বাড়ল ১১৪ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগে ১১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই সময়ে ৮৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের নিট সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) এসেছে, যা আগের প্রান্তিকের তুলনায় ৭৬ শতাংশ বেশি।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে মোট বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ১৫৭ কোটি ৬১ লাখ ডলার। তবে এর মধ্যে মুনাফা বিতরণ, আন্তঃকোম্পানি ঋণ পরিশোধসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ৭১ কোটি ১৫ লাখ ডলার দেশ থেকে চলে গেছে। ফলে নিট বিনিয়োগ দাঁড়ায় ৮৬ কোটি ডলার।

গত বছরের একই সময়ে নিট এফডিআই ছিল ৪০ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছরে ব্যবধানে ১১৪.৩১% বৃদ্ধি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটি বিদেশি আস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মার্চ ২০২৫ শেষে দেশের মোট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০৪.৭৬ বিলিয়ন ডলারে, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ১২.৮৮ লাখ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। এর আগের প্রান্তিকে (ডিসেম্বর ২০২৪) ঋণের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ডলার।

সরকারি খাতের ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮,৪৮৯ কোটি ডলারে, যেখানে বেসরকারি খাতে ঋণ কিছুটা বেড়ে ১,৯৮৭ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার উচ্চ সুদের বাণিজ্যিক ঋণ কমিয়ে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও এআইআইবি-র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ গ্রহণে মনোযোগী হয়েছে। গত মাসেই আইএমএফের দুটি কিস্তিতে ১৩৪ কোটি ডলার এবং অন্যান্য সংস্থা থেকে ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ এসেছে।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত জুন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১.৭২ বিলিয়ন ডলারে, যা ২৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী (BPM6) এই রিজার্ভ ২৬.৬৯ বিলিয়ন ডলার।

তবে আকু (Asian Clearing Union) পরিশোধের পর রিজার্ভ কিছুটা কমে এখন গ্রস রিজার্ভ ২৯.৫৩ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম৬ অনুসারে ২৪.৪৬ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্লেষকদের মতে, নতুন সরকারের অধীনে বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা, জমির প্রাপ্যতা, সেবা গ্রহণের সহজীকরণ প্রক্রিয়াসহ সংস্কারমূলক পদক্ষেপ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাচ্ছে।

তবে তাঁরা এটাও বলেন, যদি রাজনৈতিক ও নীতিগত অনিশ্চয়তা আরও হ্রাস পেত, তাহলে এই প্রবৃদ্ধি আরও উল্লেখযোগ্য হতে পারত।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে