ঢাকা, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

উত্থানে ফিরেও পতনের বেড়াজালে শেয়ারবাজার

২০২৪ অক্টোবর ০৮ ১৫:৩৬:৫০
উত্থানে ফিরেও পতনের বেড়াজালে শেয়ারবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ দিন যাবত পতনে ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনেও (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুন চেয়ারম্যান আসায় বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের ধারণা ছিল এবার হয়তো শেয়ারবাজার উত্থানে ফিরবে। কিন্তু সেই আশায় গুরেবালি।

দীর্ঘ দিন পতনের বন্দি থাকা শেয়ারবাজার মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) উত্থানে শুরু হয় লেনদেন। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরুর কিছু সময় পর সূচক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫৩৭২ পয়েন্ট পর্যন্ত উঠে। মূলত আজ বিএসইসি দেশের শীর্ষ তিন গ্রুপ প্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ এবং পিএইচপি গ্রুপের সঙ্গে বৈঠক করে। এই বৈঠকের খবরেই শেয়ারবাজার উপরের দিকে উঠতে শুরু করে। তবে অজানা কোনো কারণে শেয়ারবাজার আবার পতনে নামতে থাকে। শেষ পর্যন্ত পতনেই শেষহয় শেয়ারবাজারের লেনদেন। এতে করে পতনের বেড়াজালেই আবদ্ধ হয়ে পড়ে শেয়ারবাজার।

বিএসইসিতে রাশেদ মাকসুদ যোগদান করেছেন সেদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ছিল ৫ হাজার ৭৭৫ পয়েন্ট এবং বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা।

তার যোগদানের পর গত ৩৪ কর্মদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক নেমেছে ৫ হাজার ৩২৩ পয়েন্টে এবং বাজার মূলধন নেমেছে ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৩০১ কোটি টাকায়।

এতে দেখা যায়, আলোচ্য সময়ে ডিএসইর সূচক কমেছে ৪৫২ পয়েন্ট এবং বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে ৩২ হাজার ২৩২ কোটি টাকা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে নতুন মার্কেট মেকার বা বড় বিনিয়োগকারী তৈরি না করে যারা এখনো মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করছে, তাদের উপর উপর্যপরি শাস্তির খড়ক অব্যাহত রাখাতে বাজারের এমন দৈন্যদশা তৈরি হয়েছে।

তাঁরা বলছেন, যাদের ওপর শাস্তি আরোপ করা হচ্ছে, তারা অব্যাহতভাবে বাজারকে চাপে রাখছে। যার কারণে বাজার কোনভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না।

তাঁদের মতে, যারা এতদিন বাজারে ইচ্ছেমতো লুটপাট করেছে, তাদেরকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কিন্তু বাজারকে ঠিক না করে, বাজারে নতুন সাপোর্ট তৈরি না করে বিএসইসির কর্মকর্তাদের কেবল শাস্তির প্রক্রিয়া মশগুল থাকাটা কোনভাবেই সমীচীন হয়নি। শেয়ারবাজার সম্পর্কে সম্যক অভিজ্ঞতা না থাকাতেই এমনটা হয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করছেন।

মঙ্গলবারের বাজার পর্যালোচনা

আজ ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১১.৮৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩২৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১.৬৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৮৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৩.০১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৩৯ পয়েন্টে।

এদিন লেনদেন হওয়া ৪০০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪২টির, দর কমেছে ১৯৫টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টির।

ডিএসইতে আজ ৩৫৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কর্মদিবস থেকে ১১ কোটি ১৮ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৬৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৬১ পয়েন্টে।

এদিন সিএসইতে ১৯৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭০টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৫টির এবং ২৮টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

আজ সিএসইতে ১১ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

এস/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে