ঢাকা, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নবীজির ৯টি দৈনন্দিন অভ্যাস

২০২৫ অক্টোবর ১৩ ১৭:১৭:৩৩
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নবীজির ৯টি দৈনন্দিন অভ্যাস

নিজস্ব প্রতিবেদক : মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) শুধু মানবজাতির জন্য ধর্মীয় পথপ্রদর্শকই ছিলেন না, বরং তাঁর দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজ ও অভ্যাস ছিল শিক্ষণীয়। অবাক করার বিষয় হলো, আজ থেকে ১৪০০ বছরেরও বেশি সময় আগে রাসুল (সাঃ) যে সহজ ও সুন্দর জীবনযাপন করতেন, আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণা করে সেই অভ্যাসগুলোর উপকারিতা খুঁজে পেয়েছে।

মহানবী (সাঃ)-এর কিছু অভ্যাস এবং সেগুলোর বৈজ্ঞানিক উপকারিতা তুলে ধরা হয়েছে:

১. তাড়াতাড়ি ঘুমানো ও ভোরে ঘুম থেকে ওঠা: মহানবী (সাঃ) রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতেন এবং প্রতিদিন ফজরের আযানের সময় ঘুম থেকে উঠতেন। বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে সকালে তাড়াতাড়ি উঠলে কাজের ক্ষমতা বাড়ে এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

২. কম খাওয়া: মহানবী (সাঃ) রোগ থেকে বাঁচতে কম খাওয়ার ওপর জোর দিতেন। ইসলামের ধারণা হলো, পেটের এক অংশ খাবারের জন্য, এক অংশ পানির জন্য এবং এক অংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য খালি রাখা। বিজ্ঞান বলছে, এই অভ্যাসটি সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। আমাদের পেট যে ভরে গেছে, এই সংকেত মস্তিষ্কে পৌঁছাতে প্রায় ২০ মিনিট সময় লাগে। তাই ধীরে ধীরে খেলে কম খাওয়া হয় এবং হজম ভালো হয়। মহানবী (সাঃ) নিজেও এটি করতেন এবং অন্যদের করতে উৎসাহিত করতেন।

৩. পানি পানের নিয়ম: মহানবী (সাঃ) একবারে সবটুকু পানি পান করতেন না, বরং দুই বা তিনবারে শ্বাস নিয়ে পান করতেন। বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে অল্প সময়ে অতিরিক্ত পানি পান করলে মাথাব্যথা হতে পারে এবং শরীরের লবণের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।

৪. ডালিম ফল: ডালিম মহানবী (সাঃ)-এর অন্যতম প্রিয় ফল ছিল বলে মনে করা হয়। আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে ডালিম বিশ্বের অন্যতম স্বাস্থ্যকর একটি ফল। এটি হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং শরীরের হাড় গঠনে সাহায্য করে।

৫. রোজা রাখা: মহানবী (সাঃ) শুধু রমজানে নয়, সারা বছরই নিয়মিত রোজা রাখতেন। তিনি প্রতি সোমবার, বৃহস্পতিবার এবং আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখতেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে এভাবে রোজা রাখলে শরীরের হরমোন ঠিক থাকে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ হয়।

৬. সক্রিয় থাকা (শরীরচর্চা): ইসলামের বিভিন্ন বিধান পালনের জন্য শারীরিক সুস্থতা জরুরি। নামাজ এক ধরনের ব্যায়াম, যা শরীর ও মনের জন্য উপকারী। মহানবী (সাঃ) নিজেও শরীরচর্চা করতেন এবং অন্যদেরও খেলাধুলা ও ব্যায়াম করতে উৎসাহিত করতেন।

সুতরাং, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রতিটি অভ্যাস ছিল অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত ও মানবকল্যাণমুখী। তাঁর দেখানো পথে চললে একদিকে যেমন ধর্মীয় নির্দেশনা পালন করা হয়, তেমনি অন্যদিকে একটি সুস্থ ও সুন্দর জীবন লাভ করা সম্ভব।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

ধর্ম ও জীবন এর সর্বশেষ খবর

ধর্ম ও জীবন - এর সব খবর



রে