নিজস্ব প্রতিবেদক: শহিদ জেহাদের আত্মত্যাগের প্রেরণাকে বুকে ধারণ করে দেশি-বিদেশি অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের ধারা বহমান রাখতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। গণতন্ত্র মানে কেবল নির্বাচন নয়, গণতন্ত্র মানে মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।”

শহিদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, আজ ১০ অক্টোবর শহিদ জেহাদ দিবস। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও পৃথক বাণী দিয়েছেন।

তারেক রহমান বলেন, “শহিদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে আমি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক শহিদ নাজির উদ্দিন জেহাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। শহিদ নাজির উদ্দিন জেহাদ ৯০-এর স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে একটি অবিস্মরণীয় নাম। রক্তমাখা ওই আন্দোলন ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র, মতপ্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে পুলিশের বুলেটে শাহাদত বরণ করেন এই অকুতোভয় ছাত্রনেতা। তার রক্তের ধারা বেয়েই সে বছর সংঘটিত হয় গণ-অভ্যুত্থান এবং পতন হয় স্বৈরশাসক এরশাদের।”

তিনি আরও বলেন, “স্বৈরশাসক এরশাদ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলেন। গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর দৃঢ়-প্রত্যয় নিয়েই জেহাদ নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আমরা তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে না পারলে তার আত্মা কষ্ট পাবে।”

পৃথক এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “যে স্বপ্ন ও আশা নিয়ে শহিদ জেহাদ সেদিন স্বৈরাচারীর বুলেট নিজের বুকে বরণ করেছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণে রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য। আর তাতেই জেহাদের আত্মা শান্তি পাবে।”

মারুফ/