ঢাকা, শনিবার, ৯ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

মার্কিন শুল্কের ধাক্কায় ভারতীয় পোশাকের ক্রয়াদেশ স্থগিত বড় ব্র্যান্ডগুলোর

২০২৫ আগস্ট ০৯ ০৬:০১:৩৩
মার্কিন শুল্কের ধাক্কায় ভারতীয় পোশাকের ক্রয়াদেশ স্থগিত বড় ব্র্যান্ডগুলোর

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর দেশটির বড় খুচরা বিক্রেতা ব্র্যান্ডগুলো—যেমন ওয়ালমার্ট, অ্যামাজন, টার্গেট ও গ্যাপ—ভারতীয় সরবরাহকারীদের দেওয়া তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ স্থগিত করা শুরু করেছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার জ্বালানি তেল কেনার দায়ে ভারতের পণ্যে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যা পূর্বের ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কের সঙ্গে মিলিয়ে মোট ৫০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা মার্কিন ক্রেতাদের কাছ থেকে ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত’ ক্রয়াদেশ স্থগিত রাখার ই-মেইল পাচ্ছেন।

সূত্র জানায়, উচ্চ শুল্কের অতিরিক্ত ব্যয় বহনে মার্কিন ক্রেতারা রাজি নন। বরং তারা এই বোঝা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। নতুন শুল্কের ফলে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানির খরচ ৩০–৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। এতে ক্রয়াদেশের পরিমাণ ৪০–৫০ শতাংশ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা কয়েক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

ভারতের ওয়েলস্পান লিভিং, গোকলদাস এক্সপোর্টস, ইন্দো কাউন্ট ও ট্রাইডেন্টের মতো বড় রপ্তানিকারকরা তাদের মোট রপ্তানির ৪০–৭০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায়। যুক্তরাষ্ট্রই ভারতের তৈরি পোশাক ও বস্ত্রের সবচেয়ে বড় বাজার, যেখানে ভারত বর্তমানে চতুর্থ শীর্ষ রপ্তানিকারক।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর ভারত যুক্তরাষ্ট্রে ৪৬৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। এই বাজারে ভারতের মূল প্রতিযোগী বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম। উচ্চ শুল্কের কারণে ভারতের ক্রয়াদেশের একটি বড় অংশ বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে, কারণ এই দুই দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার তুলনামূলক কম—২০ শতাংশ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ৫০ শতাংশ শুল্কের প্রথম ধাপ (২৫ শতাংশ) ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে, আর বাকি ২৫ শতাংশ ২৮ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

ভারতের বস্ত্র খাতের শীর্ষ সংগঠন দ্য কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি (সিআইটিআই) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৫০ শতাংশ শুল্কহার তাদের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। সংস্থাটি বলেছে, “আগেই আমরা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ছিলাম, নতুন শুল্ক আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের প্রতিযোগিতা ক্ষমতাকে আরও দুর্বল করবে।” তারা সরকারের কাছে খাতটিকে দ্রুত সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

শুধু পোশাক ও বস্ত্র নয়, অতিরিক্ত শুল্ক ভারতের চামড়া, রাসায়নিক, জুতা, রত্ন-গয়না ও চিংড়ি রপ্তানি খাতকেও বড় ধাক্কা দেবে বলে শিল্পবিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

মারুফ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে