ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যানের অর্থপাচার চক্র ফাঁস, সম্পত্তি ক্রোক

২০২৫ আগস্ট ০৭ ১৮:২৮:৫৬
রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যানের অর্থপাচার চক্র ফাঁস, সম্পত্তি ক্রোক

নিজস্ব প্রতিবেদক : রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৮৭৮ কোটি টাকার অর্থপাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। একইসঙ্গে আদালতের আদেশে তাঁর মালিকানাধীন কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।

সিআইডির তদন্তে উঠে আসে, রংধনু বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে জমি কিনে বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি গ্রহণ করে পরে তা বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে।

২০২২ সালের ৮ মার্চ, রফিকুল ইসলামের ছেলে কাউসার আহমেদ অপু ও সহযোগী মেহেদী হাসান দিপু বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির কাছে ৭.৫৭৫১ একর জমি বিক্রি করেন।

এরপর ওই জমির ৬.৩৩৭৫ একর একই বছর বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট প্রোপার্টিজ লিমিটেডের কাছে পুনরায় বিক্রি করে ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা প্রতারণামূলকভাবে উপার্জন করা হয়।

সিআইডির তথ্য অনুযায়ী:ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ভূয়া কার্যাদেশ দেখিয়ে বালুভরাট কাজের নামে নেওয়া হয় ২৭০ কোটি টাকা ঋণ।

ইউনিয়ন ব্যাংক থেকেও একইভাবে নেওয়া হয় ২০০ কোটি টাকা।

ইসলামী ব্যাংক, বারিধারা শাখা থেকে ভূয়া সম্পত্তি মূল্যায়নের মাধ্যমে আরও ৪০০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করা হয়।

এইসব ঋণের টাকা পরিশোধ না করে অর্থ পাচার করে ২০ লাখ মার্কিন ডলার বিদেশে বিনিয়োগ করা হয়। পরবর্তীতে ক্যারাবিয়ান অঞ্চলের দেশ অ্যান্টিগা ও বারবুডার নাগরিকত্বও গ্রহণ করেন রফিকুল ইসলাম।

উল্লেখিত প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থপাচার সংক্রান্ত অপরাধের দায়ে, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ২ এর শ (৫), (৬), (১৪) ধারায় গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেছে সিআইডি।

রফিকুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগীদের ১৩টি ব্যাংক হিসাবের ১৭ কোটি টাকা জব্দ করা হয়।

যমুনা ফিউচার পার্কের লেভেল-২ এ অবস্থিত এক লাখ বর্গফুটের কমার্শিয়াল স্পেস-ও ক্রোক করে সিআইডি।

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে