ঢাকা, শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

জুলকারনাইন সায়ের বিতর্কে মুখ খুললেন শাহেদ আলম

২০২৫ আগস্ট ০২ ১২:২৬:৩১
জুলকারনাইন সায়ের বিতর্কে মুখ খুললেন শাহেদ আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে জাতীয় সরকার গঠন সংক্রান্ত একটি পুরনো আলোচনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ন্যাশনাল কনশাসনেস পার্টি (এনসিপি) নেতা নাহিদ ইসলামের একটি ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়, যেখানে তিনি দাবি করেন যে তার দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করে। এই দাবির প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি এবং সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকরা পাল্টা ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

নাহিদ ইসলামের অভিযোগ ও বিএনপির জবাব

বৃহস্পতিবার সকালে এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলাম তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টে দাবি করেন যে, গত বছরের আগস্টে তিনি ও তার দলের সদস্যরা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব নিয়ে একটি বৈঠকে বসেন, কিন্তু বিএনপি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

এই বক্তব্যকে 'অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর' বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির আইটি সেলের টিম লিডার নাজমুল হক, যিনি ওই বৈঠকের আয়োজক ছিলেন। তিনি জানান, ৭ আগস্ট, ২০২৪-এর ভোরে নাহিদ ইসলাম তাকে ফোন করে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। দেশের তৎকালীন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ছাত্রনেতারা ক্লান্ত এবং বিপর্যস্ত ছিলেন। অনেক চেষ্টার পর মির্জা ফখরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাদের তার বাসায় আসতে বলেন।

নাজমুল হকের মতে, বৈঠকে জাতীয় সরকারের বিষয়ে আলোচনা উঠলে মির্জা ফখরুল স্পষ্ট জানান যে বিএনপি জনগণের ভোটে বিশ্বাসী এবং কোনো অগণতান্ত্রিক বা নির্বাচিত নয় এমন সরকারের অংশ হবে না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, "একটি গণতন্ত্রহীন জাতীয় সরকারের ভিত্তি কী হবে? কিভাবে সংসদের ৩০০ আসন সিলেক্ট হবে?" নাজমুল হক আরও বলেন, বিএনপি যদি গণতন্ত্রহীন পথে ক্ষমতায় যেতে চাইত, তবে বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের দেওয়া অসংখ্য লোভনীয় প্রস্তাব ফিরিয়ে দিত না।

আল-জাজিরার সাংবাদিককে নিয়ে শাহেদ আলমের বক্তব্য

এদিকে, সাংবাদিক শাহেদ আলম নাহিদ ইসলামের পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় একটি ফেসবুক পোস্টে আল-জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরকে নিয়ে কথা বলেন। শাহেদ আলম জানান, ৫ আগস্টের পর ছাত্রশিবিরের সভাপতি হিসেবে সাদিকের নাম প্রকাশ্যে আসাকে তিনি ‘মোনাফেক রাজনীতি’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি মনে করেন, জুলাই মাসের আন্দোলন ছিল আপামর মানুষের, কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর ডাকে মানুষ রাজপথে নামেনি।

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, তিনি জুলকারনাইন সায়েরকে ভালো সাংবাদিক হিসেবে সমীহ করেন এবং তাকে ব্যঙ্গ করে 'আল বটর' নামে ডাকা শুরু করেন, যা পরবর্তীতে ভাইরাল হয়। শাহেদ আলমের মতে, সায়েরের নিজস্ব বোঝাপড়া রয়েছে এবং তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক এই রাজনৈতিক বিতর্কের ঊর্ধ্বে।

সব মিলিয়ে, এই ফেসবুক পোস্ট এবং পাল্টা পোস্টগুলো ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীর মধ্যকার জটিল সম্পর্ক ও মতাদর্শগত পার্থক্যকে আবারও প্রকাশ্যে এনেছে।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে