ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

'জুলাই পদযাত্রা' হঠাৎ কেনো 'মার্চ টু গোপালগঞ্জ'! 

২০২৫ জুলাই ১৭ ১২:৪৫:৫৪
'জুলাই পদযাত্রা' হঠাৎ কেনো 'মার্চ টু গোপালগঞ্জ'! 

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশব্যাপী 'জুলাই পদযাত্রা' কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত একটি নির্দিষ্ট দিনের কর্মসূচিকে কেন ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ নাম দেওয়া হলো, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। এই নামকরণকে কেন্দ্র করে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তার দায় কার— এই বিতর্কের জবাবে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি'র যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেছেন, এটি কোনো উস্কানিমূলক কর্মসূচি ছিল না, বরং আগে থেকেই ঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচির একটি অংশ ছিল।

সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টক শোতে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন।

নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, তাদের পদযাত্রার কর্মসূচিটি অনেক আগে থেকেই ঘোষিত ছিল এবং সরকার ও প্রশাসনসহ দেশবাসী বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল। তিনি বলেন, “আমরা একটি জেলা থেকে আরেকটি জেলায় পদযাত্রা করছিলাম। সেই ধারাবাহিকতায় গোপালগঞ্জে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে মানুষজনকে সমবেত করার সুবিধার্থে এটিকে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ নাম দেওয়া হয়েছিল।”

তিনি আরও স্পষ্ট করেন, “যদি আমরা ঢাকা থেকে হঠাৎ করে গোপালগঞ্জ অভিমুখে মার্চের ডাক দিতাম, তাহলে হয়তো একটি বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারত। কিন্তু আমাদের কর্মসূচি আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল।”

নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী অভিযোগ করেন, তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে কর্মসূচি পালনের ছাড়পত্র পেয়েছিলেন। গোপালগঞ্জে প্রবেশের পর তারা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার শিকার হন। তিনি বলেন, “আমরা শহরে প্রবেশের আগেই আমাদের পথসভার মাইকিংয়ের উপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগ হামলা চালায়। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা নিষ্ক্রিয় ছিল এবং এক পর্যায়ে পিছু হটে যায়।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “গ্রাম থেকে লাঠি, বল্লম এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের উপর হামলা করা হয়। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনী হঠাৎ করে পিছিয়ে যায়। আমরা কার্যত অরক্ষিত হয়ে পড়ি।” এক পর্যায়ে তাদের পদযাত্রার বহরটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং তারা পুলিশ লাইনে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন বলে জানান তিনি।

‘মুজিববাদের কবর রচনা করা’র মতো স্লোগানের বিষয়ে জানতে চাইলে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক বাচনভঙ্গি। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, “আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত (New Political Settlement) চাই, যার জন্য সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। বর্তমান সংবিধানটি মুজিববাদী আদর্শ দ্বারা প্রভাবিত। আমরা মনে করি, এই মুজিববাদী শক্তি বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। তাই এই আদর্শের কবর রচনার কথা বলেছি, যা একটি আদর্শিক লড়াইয়ের প্রতীকী প্রকাশ।” তিনি স্বীকার করেন যে, “বাচনভঙ্গি ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু আমাদের বার্তা স্পষ্ট— আমরা বাংলাদেশকে রক্ষা করতে চাই।”

তিনি আরও দাবি করেন, তারা বারবার প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার জন্য সাহায্য চেয়েও পাননি। নাসির পাটোয়ারীর মতে, প্রশাসন যদি তাদের নিরাপত্তা দিতে অপারগতার কথা জানাতো, তবে তারা নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিজেরাই করতেন।

মুয়াজ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে