ঢাকা, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
Sharenews24

শেখ পরিবারসহ ১০ শিল্পগোষ্ঠীর ২ লাখ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত

২০২৫ মে ১৯ ১৯:৩৬:০৩
শেখ পরিবারসহ ১০ শিল্পগোষ্ঠীর ২ লাখ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: লুটপাট ও পাচারের অভিযোগে শেখ পরিবারসহ ১০টি প্রভাবশালী শিল্পগোষ্ঠীর প্রায় ১ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার অর্থ ও সম্পদ জব্দ করেছে সরকার। এসব জব্দ করা অর্থ ও সম্পদ দিয়ে ‘লুটের টাকা ব্যবস্থাপনা তহবিল’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, যা থাকবে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায়।

সোমবার (১৯ মে) অর্থপাচার ও জব্দকৃত অর্থ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং বিএফআইইউ প্রধান এ এফ এম শাহিনুর ইসলাম।

প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের পাশাপাশি আরও ১০টি শিল্পগোষ্ঠীর মোট ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকার অর্থ অ্যাটাচ করা হয়েছে। এর বাইরে ১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার সমমূল্যের (প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা) স্থিতি অর্থ এবং ৪২ হাজার ৬১৪ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি বিদেশে আরও ২৫৩ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ রয়েছে।

তিনি আরও জানান, এসব জব্দকৃত অর্থের একটি অংশ দিয়ে ব্যাংক খাতে ক্ষতিপূরণ ও অন্য অংশ জনহিতকর কাজে ব্যয়ের লক্ষ্যে দুটি পৃথক তহবিল গঠন করবে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “ব্যাংকগুলোর অর্থ লুট হওয়ায় তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে একটি ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠন করা হবে। পাশাপাশি, দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ থেকে আলাদা তহবিল গঠনের মাধ্যমে তা জনকল্যাণে ব্যয় করা হবে। সবকিছুই আইনের আওতায় থাকবে।”

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে তিনি বলেন, “এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। সাধারণত ৪ থেকে ৫ বছর সময় লাগে। তবে আপাতত বিদেশে থাকা সম্পদ ফ্রিজ করা সম্ভব, যা তুলনামূলকভাবে দ্রুত করা যায়। এ লক্ষ্যে আমরা ‘মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স’-এর (এমএলএ) আওতায় প্রয়োজনীয় রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছি।”

সরকার গঠিত ১১টি তদন্ত দলের অনুসন্ধানে শেখ পরিবারসহ এস আলম গ্রুপসহ ১০টি শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যাংকঋণে অনিয়ম, কর ফাঁকি, অর্থপাচারসহ নানা ধরনের দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে এবং পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে একটি বিশেষ অধ্যাদেশ প্রণয়নের প্রস্তুতি চলছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় গঠিত বিশেষজ্ঞ দল এই প্রক্রিয়ায় কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে