ঢাকা, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
Sharenews24

ব্লকড কনটেন্ট বা ওয়েবসাইট দেখার কিছু কৌশল

২০২৫ মে ১৯ ১৬:৪৭:৫৩
ব্লকড কনটেন্ট বা ওয়েবসাইট দেখার কিছু কৌশল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা কারণে অনেক ওয়েবসাইটে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে রাখে কর্তৃপক্ষ। যেমন ইরানসহ বিভিন্ন দেশে ডিডব্লিউর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যায় না। কারণ সেসব দেশে ওয়েবসাইটটি ব্লক করা আছে। এভাবে আরো অনেক ওয়েবসাইটও বিভিন্ন দেশে ব্লকড অবস্থায় আছে।

তিনটি কৌশল ব্যবহার করলে এমন ওয়েবসাইটে ঢোকা সম্ভব হতে পারে।ইন্টারনেট সেন্সরশিপ বিশেষজ্ঞ আর্তুরো ফিলাস্তো বলেন, ‘নিরাপত্তা বিষয়ে কিছু সাধারণ বেস্ট প্র্যাকটিস অনুসরণ করার পরামর্শ দেব আমি।’

এর মধ্যে আছে, কোনো পাসওয়ার্ড পুনরায় ব্যবহার না করা, শুধু নিরাপদ ওয়েবসাইটের সঙ্গে ডেটা শেয়ার করা এবং সেন্সরশিপ প্রতিরোধের কৌশল সম্পর্কে আপডেট থাকা।একটি খুব সাধারণ টুল হচ্ছে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন।

এটি ইন্টারনেট ট্রাফিক একটি সুরক্ষিত সার্ভারের মাধ্যমে অন্য কোনো স্থানে পাঠিয়ে থাকে। ভিপিএন আসল আইপি ঠিকানা লুকিয়ে রাখে, যেন মনে হয় ব্যবহারকারী অন্য কোথাও থেকে ব্রাউজ করছে।

একটি জনপ্রিয় উদাহরণ হলো সাইফন, যা ভিপিএন ও প্রক্সি প্রযুক্তির সম্মিলিত একটি রূপ। প্রক্সি সার্ভারগুলো ব্যবহারকারী ও সার্ভারের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে।

এর ফলে সংযোগ দ্রুত ও আরো নিরাপদ হয়। সাইফনের কারণে ব্যবহারকারীরা ব্লকড থাকা কনটেন্টে ঢুকতে পারে।ইরানের কথাই ধরুন। ২০০৯ সাল থেকে ইরানে ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইট ব্লকড অবস্থায় আছে। কিন্তু সাইফনের মাধ্যমে ডিডব্লিউ সেখানকার অনেক ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইরান থেকে ওয়েবসাইটটি ৩০ লাখবার অ্যাক্সেস করা হয়েছিল। এই ভিজিটের ৭৫ শতাংশ সাইফন অ্যাপের কারণে সম্ভব হয়েছিল।

তবে ভাবনার আরো বিষয় আছে। আর্তুরো ফিলাস্তো বলেন, ‘আপনাকে যেন ট্র্যাক করতে না পারে সেই বিষয়টিও খেয়াল রাখা উচিত। ভিপিএন ব্যবহার করার পরও আপনাকে ট্র্যাক করতে পারে—এমন অনেক কিছু আছে। তাই আমার পরামর্শ হলো, টরের মতো কিছু ব্যবহার করা।’

টর নেটওয়ার্ক হলো আরেকটি শক্তিশালী হাতিয়ার। দ্য অনিয়ন রাউটারের সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে টর। এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা সার্ভার নেটওয়ার্কগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে পরিচয় লুকিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। ফলে কর্তৃপক্ষের পক্ষে আপনাকে ট্র্যাক বা ব্লক করা অনেক কঠিন হয়ে যায়।

এনক্রিপশনের অনেক স্তর থাকায় এর নাম অনিয়ন রাউটার রাখা হয়েছে। প্রতিটি স্তরে আলাদা নিরাপত্তা থাকে। সে কারণে পরিচয় প্রকাশ না করেই ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করা যায়।

নতুন এনক্রিপশন প্রযুক্তিগুলোও আশাব্যঞ্জক মনে হচ্ছে। এগুলো অনলাইন সেন্সরশিপকে আরো কঠিন করে তুলতে পারে। ফিলাস্তো বলেন, ‘এমন প্রযুক্তিগুলোর একটি এনক্রিপ্টেড ডিএনএস। এর কারণে ইন্টারনেটের ফোনবুক বলে পরিচিত ডিএনএস আরো সুরক্ষিত থাকে।’

এনক্রিপ্টেড ডিএনএস ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী কম্পানিকে ব্যবহারকারীর ওয়েব কার্যকলাপের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে এবং সীমিত কনটেন্ট থাকা সাইটে ব্যবহারকারীকে পাঠানোতে বাধা দেয়। ফলে সামান্য একটি ওয়েবসাইট খোঁজার বিষয়টিও গোপন থাকে। এই প্রযুক্তিগুলো সবার ব্যবহারের জন্য তৈরি।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর সর্বশেষ খবর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - এর সব খবর



রে