ঢাকা, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
Sharenews24

বহুল প্রতীক্ষিত পাতাল রেলের সর্বশেষ অবস্থা জানা গেল

২০২৫ মে ১৯ ১২:০৩:৫৯
বহুল প্রতীক্ষিত পাতাল রেলের সর্বশেষ অবস্থা জানা গেল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকাবাসীর জন্য ২০২৬ সালের ডিসেম্বরেই পাতাল রেলে চড়ার স্বপ্ন দেখানো হলেও বাস্তবতা বলছে—এটা সময়ের আগে একটি আশাবাদী ঘোষণা মাত্র। দেশের প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল প্রকল্প এমআরটি লাইন-১ নিয়ে বর্তমানে চলছে ভূমি উন্নয়নসহ প্রস্তুতিমূলক কাজ। কিন্তু এখনো মূল নির্মাণকাজ শুরুই হয়নি।

২০১৯ সালের অক্টোবরে এই প্রকল্প অনুমোদন পায়। তবে করোনাভাইরাসের কারণে শুরুতেই কাজ পিছিয়ে যায়। এরপর বিস্তারিত নকশা তৈরিতে বিলম্ব এবং প্রথম ঠিকাদার নিয়োগে তিন বছর সময় লেগে যাওয়ায় কাজের গতি আরও মন্থর হয়।

২০২২ সালের অক্টোবর মাসে রূপগঞ্জের পীতলগঞ্জ এলাকায় ডিপো নির্মাণের জন্য জাপান-বাংলাদেশের একটি যৌথ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়। বর্তমানে ভূমি উন্নয়ন কাজ প্রায় শেষ। মূল কাঠামোর নির্মাণকাজ শুরুর জন্য আগামী ২১ জুলাই ‘প্যাকেজ-১২’-এর দরপত্র উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

প্রকল্প পরিচালক আবুল কাসেম ভুইয়া বলেন,“আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে চাই। অর্থের কোনো সংকট নেই, এবং বাকি প্যাকেজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

তবে তিনি নিজেই স্বীকার করেন, মূল নির্মাণকাজ এখনও শুরু হয়নি। ফলে ২০২৬ সালের মধ্যে প্রকল্প শেষ করা সম্ভব নয়, বরং এর জন্য অন্তত আরও ৫ বছর সময় লাগতে পারে।

ভূমি উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত এক প্রকৌশলী বলেন,“দেড় বছরের মধ্যে এ প্রকল্প শেষ হবে—এটা এক ধরনের কল্পনা। বাস্তবে সেটা অসম্ভব।”

সূত্র জানায়, ৫২,৫৬১ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের ১২টি প্যাকেজের মধ্যে এখনো মাত্র একটির ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোর প্রক্রিয়া চলছে। ফলে প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি এগুতে সময় লাগবে।

প্রকল্পের সারসংক্ষেপ:

নাম: এমআরটি লাইন-১

মোট দৈর্ঘ্য: ৩১.২৪ কিমি

পাতাল অংশ (বিমানবন্দর–কমলাপুর): ১৯.৮৭ কিমি

উড়াল অংশ (নতুনবাজার–পূর্বাচল): ১১.৩৬ কিমি

স্টেশন সংখ্যা: ১৯টি

যাত্রী ধারণ ক্ষমতা: ৮ লাখ/দিন

সংযোগ: বিমানবন্দর, কমলাপুর, পূর্বাচল ও নারায়ণগঞ্জ

বাস্তবায়নকারী সংস্থা: ডিএমটিসিএল

প্রকল্প ব্যয়: ৫২,৫৬১ কোটি টাকা

উদ্বোধনের লক্ষ্যমাত্রা: ডিসেম্বর ২০২৬ (অবাস্তব বলে মত দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা)

এই পাতাল মেট্রোরেল চালু হলে ঢাকার যানজট কমানো, দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং যাতায়াত সময় কমানোর ক্ষেত্রে এটি একটি বিপ্লবী পরিবর্তন আনবে। তবে যথাসময়ে কাজ শেষ করতে না পারলে ব্যয়ও বাড়বে, এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনাও বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে