ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
Sharenews24

ওষুধ ছাড়াই কোলেস্টেরল কমানোর ৬ উপায়

২০২৫ মে ০৯ ২১:১১:৪২
ওষুধ ছাড়াই কোলেস্টেরল কমানোর ৬ উপায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। যদিও ওষুধের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তবে অনেকেই জীবনধারা পরিবর্তন ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে কোলেস্টেরল কমাতে পারেন। নিচে ওষুধ ছাড়াই কোলেস্টেরল কমানোর ৬টি কার্যকর পরামর্শ দেওয়া হলো।

১. ট্রান্স ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট এড়িয়ে চলুন

স্যাচুরেটেড ফ্যাট সাধারণত মাংস, দুগ্ধজাত খাবার, পাম ও নারকেল তেলে পাওয়া যায়। ট্রান্স ফ্যাট মূলত প্রক্রিয়াজাত ও ফাস্ট ফুডে থাকে। এই ফ্যাটগুলো এলডিএল (খারাপ) কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয় এবং এইচডিএল (ভালো) কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়।

২. দ্রবণীয় ফাইবারযুক্ত খাবার খান

দ্রবণীয় ফাইবার এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। ওটস, বাদাম, শিমজাতীয় খাবার, আপেল, অ্যাভোকাডো, গাজর ও মিষ্টি আলু এই ধরনের খাবারে ফাইবারে সমৃদ্ধ। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলো অন্তর্ভুক্ত করুন ।

৩. নিয়মিত ব্যায়াম করুন

প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে ৫ দিন হাঁটা, দৌড়ানো, সাইক্লিং বা সাঁতার কাটা এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। এটি এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতেও সহায়ক ।

৪. অ্যালকোহল পান কমান

অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন করেন, তারা সেবন কমালে হৃদরোগের ঝুঁকি ২৩ ভাগ পর্যন্ত কমে।

৫. ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন

ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্টে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সহায়তা করে। তবে এটি এলডিএল কোলেস্টেরল সরাসরি কমায় না। উচ্চ মাত্রায় ফিশ অয়েল গ্রহণ করলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করা উচিত।

৬. রসুন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করুন

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন সাপ্লিমেন্ট এলডিএল কোলেস্টেরল সামান্য কমাতে পারে। তবে এর প্রভাব সীমিত এবং আরও গবেষণা প্রয়োজন। রসুন সাপ্লিমেন্টের পাশাপাশি রান্নায় কাঁচা রসুন ব্যবহার করাও উপকারী হতে পারে।

উচ্চ কোলেস্টেরলের কোনো নির্দিষ্ট উপসর্গ নেই, তাই নিয়মিত পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। ২১ বছর বয়সের পর প্রতি ৪-৬ বছর অন্তর কোলেস্টেরল পরীক্ষা করানো উচিত। যদি পারিবারিক ইতিহাস থাকে বা হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে, তাহলে আরও ঘন ঘন পরীক্ষা প্রয়োজন হতে পারে ।

জীবনধারা পরিবর্তন ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে অনেকেই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। তবে যদি এসব পদক্ষেপ যথেষ্ট না হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা উচিত। সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিকল্পনা গ্রহণ করুন।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ খবর

স্বাস্থ্য - এর সব খবর



রে