ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
Sharenews24

আ.লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

২০২৫ মে ০৯ ১৫:৫৬:১০
আ.লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ (আ.লীগ) নিষিদ্ধের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার খবর সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

শুক্রবার (৯ মে ২০২৫) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।” বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “সরকার ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে এবং তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে।” এছাড়া, ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করা হয়।

কিশোরগঞ্জে গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলা, গুলি চালানো ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্যসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী তহমুল ইসলাম মাজহারুল (২৭) জানান, তিনি বিএনপির কর্মী এবং আন্দোলনের সময় আহত হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি মামলাটি দায়ের করেন।

এই মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়া, মামলায় সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাসান মাহমুদ, নাজমুল হাসান পাপন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মুরাদ হাসান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক এমপি একেএম শামীম ওসমান, রেজওয়ান আহমদ তৌফিক, মো. সোহরাব উদ্দিন, আফজাল হোসেন, ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ার, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম, সিআইডি’র সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল কাহার আকন্দ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মসিউর রহমান হুমায়ুনসহ মোট ১২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, অজ্ঞাতনামা আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, “শেখ হাসিনার পতনে সংগঠিত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে দেশ-বিদেশে অবস্থান করা ১ নম্বর থেকে ২০ নম্বর আসামিরা সারাদেশে গণহত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই মোতাবেক তারা কিশোরগঞ্জে যাতে কোনো আন্দোলন হতে না পারে, সে জন্য ২১-৪০ নম্বর আসামিদের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য ৪১-১২৪ নম্বর আসামিরা শটগান, বন্দুক, পিস্তল, ককটেল, বোমা ও দেশি অস্ত্র এবং অর্থ সরবরাহ করে আন্দোলন দমাতে গণহত্যার নির্দেশ দেন।”

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মামলাটি তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই মামলার মাধ্যমে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

এই পরিস্থিতিতে, অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি এবং মামলার বিষয়টি দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে