ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
Sharenews24

যার ফোনে সাবেক রাষ্ট্রপতিকে ছেড়ে দেওয়া হয়

২০২৫ মে ০৯ ২০:২৮:৪৭
যার ফোনে সাবেক রাষ্ট্রপতিকে ছেড়ে দেওয়া হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমন নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও তার দেশত্যাগের ঘটনায় সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি তুলেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও নেতারা।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, আবদুল হামিদকে বিমানবন্দরে আটকানো হলেও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অফিস থেকে ফোন পেয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি লেখেন:

"চুপ্পুর (রাষ্ট্রপতির) অফিস থেকে ফোন কল পেয়ে হামিদকে ছেড়ে দেওয়া হলো। এরপরও কি ইন্টারিম সরকারকে সমর্থন করে যাওয়া উচিত?"

তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, "আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে বা রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ না করলে ইন্টারিম সরকারকেই পদত্যাগ করতে হবে।"

এদিকে, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। তাদের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান খানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়।

“সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার সময় দিচ্ছি। যদি দোষীদের শাস্তি ও হামিদকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা না হয়, তাহলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে চেয়ার ছাড়তে হবে। নইলে আন্দোলনের দায় থাকবে সরকারের ওপর।”

‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র শরিফ উসমান হাদি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে বলেন “হামিদকে ছেড়ে দেওয়ার দায়ে ছাত্র উপদেষ্টারা তিন দিনের মধ্যে পদত্যাগ করুন। নইলে আমরা ইন্টারিমের বিরুদ্ধেই আন্দোলনে নামবো।"

তিনি আরও বলেন "গণহত্যার বিচার ও ফ্যাসিস্ট লীগ নিষিদ্ধ না হলে, ইন্টারিম সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে।"

কিশোরগঞ্জ ব্যুরো জানিয়েছে, আবদুল হামিদ এবং তার শ্যালক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতা ডা. নওশাদ খানের বিদেশযাত্রা এখন ‘টক অব দ্য কিশোরগঞ্জ’। স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলছেন, মামলার আসামি হয়েও একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি কীভাবে এত সহজে দেশত্যাগ করলেন?

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে