ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
Sharenews24

জানা গেল আবদুল হামিদ যেভাবে পালিয়েছেন

২০২৫ মে ০৯ ২০:৩৪:০৩
জানা গেল আবদুল হামিদ যেভাবে পালিয়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সময়টা তখন রাত ১২টা ছুঁইছুঁই। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যস্ততম সময় পার করছিল। একের পর এক বিদেশগামী যাত্রীরা চেক-ইন, লাগেজ ড্রপ ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত। ঠিক এমন এক সময়, বিমানের সাধারণ যাত্রীদের ভিড়ে চোখে পড়েন প্রবীণ এক ব্যক্তি। উচ্চতা ও আচরণে আলাদা হলেও মুখে মাস্ক ও মাথায় ক্যাপ থাকায় কেউ সহজে চিনতে পারেননি তাকে।

চেক-ইন শেষ করে যাত্রীটি এগিয়ে গেলেন ইমিগ্রেশনের দিকে। নিজের পাসপোর্ট জমা দিলে, কর্মকর্তারা চমকে ওঠেন। কারণ তাদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটি আর কেউ নন—বাংলাদেশের পরপর দুই মেয়াদের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা প্রথমে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলেও, কিছুক্ষণের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি কার্যালয় থেকে একটি ফোনকল আসে। ফোন পেয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সাবেক রাষ্ট্রপতিকে ছাড়পত্র দেয়। এরপর ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন তিনি।

সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশযাত্রার কারণ হিসেবে চিকিৎসার কথা বলা হলেও, তাকে নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কারণ, তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলার অভিযোগ রয়েছে এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি একটি 'নজিরবিহীন সুযোগ'।

পাসপোর্ট যাচাইয়ে কোন নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাকে বাধা দেওয়া হয়নি বলে জানানো হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে—হত্যা মামলার আসামি কীভাবে এমন অবাধে দেশ ছাড়লেন?

সূত্র জানায়, আব্দুল হামিদের সঙ্গে ছিলেন তার ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতা ডা. নওশাদ খান।

এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইমতিয়াজ আহমেদ জানিয়েছেন, “দেশ ছাড়তে বাধা না দেওয়া হলেও, তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন।”

এই ঘটনায় ছাত্র ও যুব আন্দোলন কর্মীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে সারা দেশে নতুন আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে