ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

বিএনপির সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ জানালেন শওকত মাহমুদ

২০২৫ এপ্রিল ২৫ ১৭:৪৪:৫৭
বিএনপির সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ জানালেন শওকত মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির সঙ্গে তার বিচ্ছেদের কারণ জানালেন দলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক শওকত মাহমুদ। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ‘রুপসী বাংলা’তে নতুন দল ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’-এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এই তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে নতুন দলের মহাসচিব হিসেবে শওকত মাহমুদ বিএনপির সঙ্গে বিচ্ছেদের বিস্তারিত কারণ ব্যাখ্যা করেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত দূরত্ব হয়েছে- এর পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। ২০১২ সালে বেগম খালেদা জিয়ার অনুমতিতে আমরা জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি গঠন করেছিলাম। পরবর্তীতে যখন সেই কমিটি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করি, তখন আমরা বলেছিলাম যে, ইনসাফ কায়েম কমিটি একটি গণঅভ্যুত্থান করতে চায় এবং এর জন্য রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রয়োজন। কিন্তু বিএনপির কিছু নেতা আমাদের এই আহ্বানকে ভুল বুঝেছিলেন এবং মনে করেছিলেন যে, আমরা দল ভাঙতে চাই। এর ফলে আমার সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের অবনতি ঘটে।’

শওকত মাহমুদ আরও বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে, সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলো যে গণঅভ্যুত্থানের কথা বলেছিল, তা বাস্তবে অরাজনৈতিক ছাত্রদের নেতৃত্বে সম্পন্ন হয়েছে। এখানে বিএনপির কোনো দোষ নেই, তবে আমি আশা করি, সবাই বিষয়টি উপলব্ধি করবেন।’

তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর যখন বাংলাদেশে নতুন জাতীয় ঐক্যের আহ্বান উঠেছে, তখন আমি নতুন দল গঠন করেছি। আমাদের দলের উদ্দেশ্য ও উপলব্ধি হয়তো বিএনপির সঙ্গে কিছুটা ভিন্ন, তবে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ এবং আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা সম্পর্কে আমাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।’

এছাড়া, ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য শওকত মাহমুদ দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্য এই নতুন দল গঠন করিনি। তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনে অনেকে বাধ্য হয়ে অংশগ্রহণ করেছে, এমনকি আমি নিজেও গোয়েন্দা সংস্থার হুমকি ও ৭০টি মামলার কারণে নির্বাচনে যেতে বাধ্য হয়েছি।’

তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনের সঙ্গে ২০২৪ সালের নির্বাচনকে তুলনা করে বলেন, ‘২০১৮ সালে যাদের নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়েছিল, তাদেরও দুঃখ প্রকাশ করা উচিত।’

শওকত মাহমুদ আরও বলেন, ‘ওই সময়ে সরকারের নিপীড়ন এতটা তীব্র ছিল যে, আমাদের অনেককেই নির্বাচন করতে বাধ্য করা হয়েছিল। ছাত্র সমন্বয়কদের আন্দোলন যখন তীব্র হয়েছিল, তখন তাদের ডিবি পুলিশের হাতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সরকার তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছিল।’

তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে নির্বাচনে যাওয়ার পেছনে ছিল দল নিবন্ধন রক্ষার প্রয়োজন। বর্তমানে, জাতীয় ঐক্যের আহ্বান এসেছে, যেখানে ফ্যাসিস্টদের সহযোগিতা ছাড়া নতুন ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে।’

নতুন দল নিয়ে জোটের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গে শওকত মাহমুদ বলেন, ‘এটা সময়ই বলে দেবে। আমাদের দলের আদর্শ-উদ্দেশ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হলে আমরা যেকোনো জোটে যেতে প্রস্তুত, তবে এই মুহূর্তে কোনো জোটে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা আমাদের নেই।’

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে