ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

ফারুকী জানালেন এবারের শোভাযাত্রার আসল উদ্দেশ্য

২০২৫ এপ্রিল ১৪ ১৩:০১:৩৬
ফারুকী জানালেন এবারের শোভাযাত্রার আসল উদ্দেশ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলা নববর্ষ শুধু একটি দিন নয় এটি হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর মানুষের মেলবন্ধনের প্রতীক। পহেলা বৈশাখে এদেশের প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে তৈরি হয় এক বৈচিত্র্যময়, প্রাণবন্ত মিলনমেলা। সেই চেতনারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজিত বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায়।

এদিন শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা ও খ্যাতিমান নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐক্য ও মেলবন্ধনের একটি বড় ধাপ। এটি শুধুই বাঙালির উৎসব নয় বরং বাংলাদেশের প্রতিটি জনগোষ্ঠীর প্রতিটি মানুষের উৎসব।”

তিনি জানান এই উৎসবে যেমন রয়েছে সুলতানি আমলের শিকড় তেমনই রয়েছে মুঘল ও আধুনিক সময়ের শিল্পচর্চার নিদর্শন। তিনি আরও বলেন, “এখানে রাজনৈতিক টানাপোড়েন বা চাপিয়ে দেওয়া সংস্কৃতির কোনো স্থান নেই। এটি খাঁটি সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ।”

আয়োজনে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ শব্দটি বদলে এবার রাখা হয়েছে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। নাম পরিবর্তন নিয়ে ওঠা বিতর্কের প্রসঙ্গে ফারুকী বলেন, “চাপিয়ে দেওয়ার কিছু হয়নি। বরং আগে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যশোরে এর নাম ছিল বর্ষবরণ শোভাযাত্রা পরে চারুকলায় তা হয়েছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। এরপর মঙ্গল শব্দটি যুক্ত হয়। এবার চারুকলা সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেকড়ে ফিরে যাওয়ার।”

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন ১৯৮৯ সালে চারুকলায় এই শোভাযাত্রার সূচনা হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ পথচলায় এটি রূপ নেয় সর্বজনীন সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তিতে যা এখন বাংলাদেশের ইউনেস্কো স্বীকৃত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।

ফারুকী মনে করেন, নববর্ষ উৎসব কেবল একটি জাতিগোষ্ঠীর নয়। “এটি বাংলাদেশে বসবাসরত বাঙালি, চাকমা, মারমা, গারোসহ সব জাতিগোষ্ঠীরই উৎসব। আমরা এটিকে শুধু বাঙালির নয় বরং বাংলাদেশের প্রাণের উৎসবে রূপান্তর করেছি,” বলেন তিনি।

এই বর্ষবরণকে ইতিহাসের একটি গর্বিত দিন হিসেবে বর্ণনা করে ফারুকী বলেন, “হয়তো আমরা ২০-৩০ বছর পর থাকবো না। কিন্তু আজকের বছরটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ আজ আমরা যে পথে যাত্রা শুরু করেছি ভবিষ্যতের বাংলাদেশ সেই পথেই এগিয়ে যাবে।”

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে