ঢাকা, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

স্টারলিংক আসছে বাংলাদেশে: মাসিক খরচ এবং সুবিধাগুলো

২০২৫ এপ্রিল ০৭ ১৯:৫৩:১৯
স্টারলিংক আসছে বাংলাদেশে: মাসিক খরচ এবং সুবিধাগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে স্টারলিংক সেবা চালু হতে যাচ্ছে। এই সেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক কৌতূহল তৈরি হয়েছে। স্টারলিংক, যেটি ইলন মাস্কের স্পেসএক্স দ্বারা পরিচালিত একটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা, বাংলাদেশে আনার জন্য ইতোমধ্যে অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

স্টারলিংক হল স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৪২ মাইল (৫৫০ কিলোমিটার) ওপরে কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করে। এই সেবা ৩৫,৭৮৬ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করা ভূস্থির (geostationary) স্যাটেলাইটের মাধ্যমে চালিত হয়। স্টারলিংকের সেবা বর্তমানে ১০০টিরও বেশি দেশে রয়েছে।

বাংলাদেশে স্টারলিংক সেবা চালু হওয়ার পর, দুর্গম এলাকার মানুষও সহজে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পেতে পারবেন। এটি ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেট ভিত্তিক অন্যান্য কাজের জন্য উপকারী হবে। সাধারণত স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের জন্য কেবল একটি অ্যান্টেনা সেটআপ করতে হয়, যা পৃথিবী থেকে কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটের সাথে সংযুক্ত থাকে।

স্টারলিংকের সেবা পেতে গ্রাহকদের কিছু সরঞ্জাম কিনতে হবে, যেমন: রিসিভার, অ্যান্টেনা, রাউটার, এবং পাওয়ার সাপ্লাই। এই সরঞ্জামগুলোর জন্য স্টারলিংক কিটের মূল্য ৩৪৯ ডলার থেকে ৫৯৯ ডলার (প্রায় ৪৩,০০০ টাকা থেকে ৭৪,০০০ টাকা) পর্যন্ত হতে পারে।

মাসিক ফি হিসেবে স্টারলিংক গ্রাহকদের ১২০ ডলার (প্রায় ১৫,০০০ টাকা) প্রদান করতে হবে। তবে কর্পোরেট গ্রাহকদের জন্য এই খরচ আরও বেশি হতে পারে।

স্টারলিংক সেবা পেতে গ্রাহকদের টেলিভিশনের অ্যান্টেনার মতো একটি ডিভাইস ইনস্টল করতে হবে। এই ডিভাইসটি পৃথিবী থেকে কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং গ্রাহক তার রাউটারটি ব্যবহার করে ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করেন। স্টারলিংকের ডাউনলোড গতি ২৫ থেকে ২২৮ এমবিপিএস হতে পারে, তবে সাধারণত অধিকাংশ ব্যবহারকারী ১০০ এমবিপিএসের বেশি গতি পান।

দুর্গম এলাকায় সেবা: গ্রামাঞ্চল ও দুর্গম এলাকায় উচ্চগতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যাবে, যা ফ্রিল্যান্সিং এবং অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক কাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

দুর্যোগকালীন সুবিধা: স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা দুর্যোগকালীন সময়ে দ্রুত যোগাযোগ প্রতিষ্ঠানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

গোপনীয়তা রক্ষা: স্টারলিংক সেবা আড়িপাতার সুযোগ না দেওয়ার কারণে, এটি গোপনীয়তার সাথে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে সাহায্য করতে পারে।

বাংলাদেশে স্টারলিংক সেবা চালু হতে ২০২৪ সালে একটি বৈঠক হয়েছিল, যেখানে টেলিযোগাযোগ খাতে আড়িপাতার জন্য সরকারের প্রবেশাধিকারের বিষয়ে আলোচনা হয়। স্টারলিংক সাধারণত আড়িপাতার সুযোগ দিতে চায় না, তবে সরকারের শর্ত অনুযায়ী এটি সেবা প্রদান করতে হবে।

স্টারলিংক সেবা বাংলাদেশে চালু হলে এটি সাধারণ মানুষের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, তবে এটি ব্যয়বহুল হওয়ায় কিছু মানুষের জন্য এটি ব্যবহারে কষ্টসাধ্য হতে পারে।

আরিফ/

পাঠকের মতামত:

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর সর্বশেষ খবর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - এর সব খবর



রে