নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের মাদকাসক্তি নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে দায়িত্ব পালনের সময় নিয়মিত মাদক গ্রহণ করতেন মাস্ক। এ খবর প্রকাশের পর ট্রাম্প প্রশাসনে অস্বস্তির সৃষ্টি হয়।

নিউইয়র্ক টাইমস-এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাস্ক নিয়মিতভাবে সাইকেডেলিক মাশরুম, কেটামিন ও এক্সট্যাসি গ্রহণ করতেন। এমনকি প্রতিদিন প্রায় ২০টি ভিন্ন ধরনের ওষুধ রাখতেন সঙ্গে। ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, ২০২৩ সালের দিকে মাস্কের মাদক গ্রহণ বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছায়।

ওভাল অফিসে আয়োজিত এক বিদায় অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করলে মাস্ক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। অন্যদিকে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন,“আমি এসব বিষয়ে কিছু জানি না। ইলন একজন চমৎকার মানুষ, তাকে নিয়ে আমার কোনো উদ্বেগ নেই।”

তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি, সে নিজের কাজটা খুব ভালোভাবে করেছে।”

২০২০ সালে নির্বাচনি প্রচারে ২৭৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়ে ট্রাম্পকে সমর্থন জানান মাস্ক। পরবর্তীতে ট্রাম্প তাকে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন— বিশেষ পদ যা তাকে সীমিত প্রশাসনিক ক্ষমতা দেয়।

মার্কিন ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (DEA) মতে, এক্সট্যাসি একটি শিডিউল-১ শ্রেণির নিষিদ্ধ মাদক, যার ব্যবহার ফেডারেল কর্মীদের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে মাস্ক ছিলেন বিশেষ সরকারি কর্মচারী, যাদের ওপর কিছু নিয়ম শিথিলভাবে প্রয়োগ হয়। ফলে, তার মাদক গ্রহণ সরাসরি আইনি অপরাধে পরিণত হয়নি—তবে এ নিয়ে নীতিগত বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

মাস্কের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক কোনো তদন্ত বা আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য আসেনি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে এই খবর প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে আলোচনার ঝড় উঠেছে—বিশেষ করে মাস্কের মতো প্রভাবশালী একজনের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের সময় এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায়।

মুয়াজ/