ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ জামাতের যে যুক্তি

২০২৫ মার্চ ৩০ ১২:৪৭:১৯
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ জামাতের যে যুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ জামাতের সময় বিভিন্ন দেশে বিশেষ কিছু যুক্তি উঠে আসে। বাংলাদেশের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার জামাতের দিন গণনা সৌদির সঙ্গে সমন্বয় করে নির্ধারণ করার ধারণা অনেকের মধ্যে প্রচলিত। এর পেছনে কিছু ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কারণ রয়েছে।

মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় কেন্দ্র হিসেবে সৌদি আরবের গুরুত্ব রয়েছে। এর ফলে, সৌদি আরবকে অনুসরণ করার প্রবণতা অনেক মুসলিম দেশেই দেখা যায়। যখন সৌদির মধ্যে ঈদ উদযাপনের দিন নির্ধারিত হয়, তখন পৃথিবীজুড়ে আরও বেশি মুসলমান ঐ দিনটি পালন করার জন্য একযোগে প্রস্তুতি নেয়।

মুসলিম ক্যালেন্ডার হিজরি ক্যালেন্ডার, যা চাঁদ দেখে নির্ধারিত হয়। সৌদি আরবের চাঁদ দেখা যেহেতু বিশ্বের অন্য মুসলিমদের জন্য একটি আদর্শ হয়ে থাকে, সুতরাং অনেক দেশ এটি অনুসরণ করে থাকে। যখন সৌদি আরব ঘোষণা করে যে চাঁদ দেখা গেছে এবং ঈদ উদযাপনের দিন ঘোষণা করেছে, তখন সেটি অন্যান্য দেশেও মেনে নেওয়া হয়।

ঈদ জামাতের সময় সৌদির সঙ্গে মিল রেখে জামাত পড়ার ধারণার পেছনে একটি ঐক্যবদ্ধ মুসলিম সমাজের ধারণাও কাজ করে। একসাথে ঈদ উদযাপন করলে ধর্মীয় ঐক্য এবং পারস্পরিক সংহতি বৃদ্ধি পায়। একই দিনে ঈদ পালন করতে পারলে বিশ্বের সব মুসলমান একে অপরের সাথে ধর্মীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ অনুভব করেন।

ইসলামের পবিত্র স্থান হিসেবে মক্কা ও মদিনা সৌদি আরবে অবস্থিত। সেই কারণে অনেক মুসলমান সৌদির ধর্মীয় সিদ্ধান্তগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বিশেষ করে ঈদসহ অন্যান্য ধর্মীয় কার্যক্রমের সময় সৌদি আরবের সিদ্ধান্তকে এক ধরনের ধর্মীয় নির্দেশনা হিসেবে মানা হয়।

তবে, সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ জামাতের বিষয়টি বাংলাদেশের মতো কয়েকটি দেশে বিতর্কেরও সৃষ্টি করেছে, কারণ চাঁদ দেখার বিষয়টি দেশের আবহাওয়া, ভূগোল ও স্থানীয় পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। তাই অনেকেই মনে করেন, ঈদ উদযাপন শুধুমাত্র সৌদির সঙ্গে সমন্বিত হওয়া উচিত নয়, বরং দেশের নিজস্ব চাঁদ দেখার ভিত্তিতেই তা নির্ধারণ হওয়া উচিত।আরিফ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে