ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির মধ্যে দ্বন্দ্ব, রাজনীতিতে উত্তেজনা

২০২৫ মার্চ ০৭ ১০:১০:২৮
বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির মধ্যে দ্বন্দ্ব, রাজনীতিতে উত্তেজনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন নিয়ে বিএনপি, জামায়াত এবং নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির মধ্যে ত্রিমুখী দ্বন্দ্ব বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।

এনসিপির অবস্থান:

নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি) সম্প্রতি গণপরিষদ নির্বাচন এর দাবি তুলেছে। তারা মনে করে, দেশের নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য এই গণপরিষদ নির্বাচন প্রয়োজন। তারা দাবি করছে যে, গণপরিষদ নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে এবং একে অপরকে পিছিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এনসিপির আরিফুল আসলাম আদিব বলেন, গণপরিষদ নির্বাচন এবং জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হলে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা একসঙ্গে সংবিধান সংশোধন এবং নতুন সংবিধান তৈরি করার ম্যান্ডেট পেতে পারেন।

এছাড়া, এনসিপি বলছে যে তারা জাতীয় নির্বাচন পেছাতে চায় না, তবে তারা মনে করে, গণপরিষদ নির্বাচন নতুন সংবিধান তৈরি এবং দেশের রাজনৈতিক কাঠামো পুনর্গঠন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বিএনপির অবস্থান:

বিএনপি শুরু থেকেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের পক্ষে। তারা মনে করে যে, জাতীয় নির্বাচন পেছানোর কোনো প্রয়োজন নেই। বিএনপি মনে করে, গণতন্ত্রহীন পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হওয়া উচিত নয় এবং দেশের জনগণ তাদের ম্যান্ডেট দিয়ে সংসদে প্রতিনিধিদের পাঠাবে। বিএনপির আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "এখন যে কেউ যা বলবে, তা পূরণের জন্য জনগণের ম্যান্ডেট প্রয়োজন।"

এছাড়া, বিএনপি গণপরিষদ বা সংবিধান সংশোধনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তারা বলছে, একমাত্র জাতীয় সংসদ নির্বাচনই সংসদীয় কাজের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং জনগণের ম্যান্ডেট থেকে আসা প্রয়োজন।

জামায়াতের অবস্থান:

জামায়াত-ই-ইসলামী মনে করছে, প্রথমে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিত। তাদের মতে, বর্তমানে স্থানীয় নির্বাচনে কোনো জনপ্রতিনিধি নেই, ফলে জনগণের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। তারা মনে করে, স্থানীয় নির্বাচন দ্রুত হওয়া দরকার এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে তাদের জোর দাবি রয়েছে।

তারা দাবি করে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা এবং সেই নির্বাচনে যদি নিরপেক্ষতার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায় তবে তা হবে সুষ্ঠু নির্বাচন।

নির্বাচন কমিশনের অবস্থান:

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বলছে যে, যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে অনুষ্ঠিত হয়, তবে জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, "যদি আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচন করি, তাহলে জাতীয় নির্বাচন অনেক পিছিয়ে যাবে।"

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় নির্বাচন ধাপে ধাপে হতে হবে এবং এটি এক বছর সময় নিবে। তাই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য ডিসেম্বর এবং জুন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে