ঢাকা, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
Sharenews24

আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তি আরও পিছিয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৭ ১২:১২:৫৩
আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তি আরও পিছিয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ের সময়সীমা আরও পিছিয়ে গেছে। প্রথমে পরিকল্পনা ছিল ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই কিস্তির অর্থ ছাড় করা হবে, তবে এখন তা স্থগিত হয়ে ১২ মার্চ করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে তা জুন মাসে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে ছাড়ার প্রস্তাব আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের সভায় উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুত করা হবে।

আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত অধিবেশন শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, তারা কিছু কাজ শেষ করার জন্য সময় নিচ্ছেন এবং তাড়াহুড়া করছেন না। তিনি বলেন, "আমরা যেটা বলেছি, সেটা হলো আমাদের কিছু কাজ আছে এবং তা যতটা সম্ভব মেটাতে হবে। আমরা মরিয়া হয়ে উঠছি না। আমরা প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পালন করব, তবে আমাদের নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করছি।"

এছাড়া অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, "আমরা জানি যে আইএমএফের ঋণ শর্ত অনুযায়ী কিছু কাজ করতে হবে, কিন্তু দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি এখন শক্তিশালী। চালু থাকা আর্থিক হিসাব, চলতি হিসাব এবং প্রবাসী আয় ভালো।"

আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি কিস্তির জন্য কিছু শর্ত পরিপালন করতে হয়, তবে চতুর্থ কিস্তির জন্য একমাত্র কর সংগ্রহ বিষয়টি বাদে অন্যান্য শর্তগুলো ইতিমধ্যে পূর্ণ হয়েছে। গত বছর জুনভিত্তিক শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কর সংগ্রহ বৃদ্ধি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী, আইএমএফের প্রতিনিধি দল বারবার কর আহরণের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে। তবে বাংলাদেশের কর সংগ্রহ এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি, যার ফলে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

আইএমএফের প্রতিনিধি দল ৩ ডিসেম্বর ঢাকায় এসে এই বিষয়গুলো পর্যালোচনা করেছে এবং সরকারের কর সংগ্রহ বৃদ্ধি করার জন্য আরও চাপ সৃষ্টি করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে কর আহরণ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হলেও, গত বছরের শেষের দিকে সরকারের মূসক বা ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে সমালোচনার ঝড় উঠে।

আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির আওতায় আরও কিছু শর্ত রয়েছে, যার মধ্যে কর-জিডিপি অনুপাতের বৃদ্ধি এবং অন্যান্য রাজস্ব সংগ্রহের কৌশল রয়েছে। তবে দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং বিভিন্ন ধরণের ব্যয় বৃদ্ধি সরকারের জন্য নতুন করে রাজস্ব আহরণ করা আরও কঠিন করেছে।

এখন সরকারকে আইএমএফের শর্তগুলো মেনে চলতে হবে, তবে তা কীভাবে কার্যকরভাবে পূর্ণ হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

আলম/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে