ঢাকা, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

সর্বজনীন পেনশন নিয়ে বড় সুখবর দিল অন্তর্বর্তী সরকার

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৪ ১৪:৪১:৪৮
সর্বজনীন পেনশন নিয়ে বড় সুখবর দিল অন্তর্বর্তী সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্তমানে প্রায় পৌনে ৪ লাখ মানুষ দেশের সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিতে যুক্ত আছেন। তবে দেশ ছেড়ে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর এই কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে গ্রাহকদের জন্য সুখবর—এ কর্মসূচি বন্ধ হচ্ছে না।

বরং, অন্তর্বর্তী সরকার এই কর্মসূচির গতি বাড়াতে কাজ করছে। সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সর্বজনীন পেনশন বন্ধের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। তিনি একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, "দেশে সামাজিক নিরাপত্তা এবং আর্থিক সুরক্ষার জন্য এ কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এটি বন্ধ বা বাতিল করার কোনো পরিকল্পনা নেই।"

তিনি আরও বলেন, "এ কর্মসূচির প্রচলিত স্কিমগুলোতে আরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে, এবং যারা ইতোমধ্যে নিবন্ধিত হয়েছেন বা ভবিষ্যতে যোগ দেবেন, তাদের জন্য কীভাবে আরও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া সম্ভব তা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।"

এর আগে, পেনশন কর্মসূচি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে পেনশন কর্মসূচি বন্ধ হবে না। ১৪ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পরিষদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য পেনশন কর্তৃপক্ষকে কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির জন্যও "প্রয়োজনীয় পরিবর্তন" আনার কথা বলা হয়েছিল।

পেনশন কর্তৃপক্ষ এখন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা এবং সেমিনারের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি পেনশন কর্মসূচির গুরুত্ব তুলে ধরবে। এতে গ্রাহকদের জন্য বার্তা থাকবে, সরকার পরিবর্তন হলেও বা পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, জনস্বার্থে এই কর্মসূচি চলতে থাকবে।

২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট থেকে 'সমতা', 'সুরক্ষা', 'প্রগতি', এবং 'প্রবাস'—এই চারটি স্কিমের মাধ্যমে পেনশন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের এবং প্রবাসে থাকা নাগরিকদের মধ্যে মোট ৩,৭৩,৩০৬ জন এই কর্মসূচিতে নিবন্ধিত হয়েছেন। তবে নতুন যুক্ত হওয়া নাগরিকের সংখ্যা এখনও কম।

এখন পর্যন্ত পেনশন তহবিলে গ্রাহকরা মোট ১৫৭ কোটি ৬৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জমা করেছেন, যা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করেছে। এর ফলে মুনাফাসহ তহবিলের মোট পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৪ কোটি টাকা।

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে