ঢাকা, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ: লাউরির তদন্তে যা বলা হয়েছে

২০২৫ জানুয়ারি ১৫ ১৮:৫০:১৭
টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ: লাউরির তদন্তে যা বলা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : যুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতির একাধিক অভিযোগে তদন্তের মুখে পড়েন। এ ঘটনায় তিনি ব্যাপক সমালোচনার পর ১৫ জানুয়ারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তদন্তে উঠে আসা বিষয়গুলি:

১. ব্যক্তিগত আর্থিক বিষয় ও সম্পদের উৎস:

স্যার লাউরি ম্যাগনাস, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলো পরীক্ষা করার জন্য তিনি তার ব্যক্তিগত আর্থিক বিষয়গুলোর পর্যালোচনা করেছেন। এতে তিনি সিদ্দিকের মালিকানাধীন সম্পদের উৎস এবং বাংলাদেশে তার রাজনৈতিক সম্পর্কের কোনো অসংগতির প্রমাণ পাননি।

২. রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে উপস্থিতি:

২০১৩ সালে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ সংক্রান্ত বাংলাদেশ-রাশিয়া চুক্তির সময় মস্কো সফরের বিষয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, এটি শুধুমাত্র একটি সামাজিক সফর ছিল, যেখানে তার খালা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সিদ্দিক এ বিষয়ে কোন আনুষ্ঠানিক ভূমিকা রাখেননি বলে স্যার লাউরি ম্যাগনাস নিশ্চিত হয়েছেন।

৩. সম্পত্তির মালিকানা ও উপহার বিতরণ:

টিউলিপ সিদ্দিক ২০০৪ সালে একটি সম্পত্তি অর্জন করেন এবং ২০০৯ সালে তার বোনকে একটি সম্পত্তি উপহার দেন। তদন্তে উঠে এসেছে, এই সম্পত্তিগুলির মালিকানা লাভের মধ্যে কোনো আর্থিক বিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবে সিদ্দিক স্বীকার করেছেন যে, তিনি দীর্ঘ সময় ধরে এই বিষয়টি ভুল বুঝে ছিলেন।

৪. তথ্য ঘাটতি এবং নথিপত্রের অভাব:

স্যার লাউরি ম্যাগনাস উল্লেখ করেছেন যে, সময়ের অভাব এবং নথিপত্রের ঘাটতির কারণে সিদ্দিকের সম্পদের সাথে সম্পর্কিত কিছু বিষয়ের বিষয়ে চূড়ান্ত তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। তবে, তার মতে, সিদ্দিকের সম্পদের উৎস বৈধ এবং কোনো অস্বাভাবিক আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

৫. মন্ত্রিত্বের বিধি ও ব্যক্তিগত স্বার্থের সংঘাত:

স্যার লাউরি ম্যাগনাস আরো জানিয়েছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যক্তিগত আর্থিক বিষয়গুলো সরকারের দায়িত্বের সঙ্গে কোনো সংঘাত সৃষ্টি করেনি, তবে তার বাংলাদেশের আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ণ হওয়ার ঝুঁকি ছিল। তিনি এ ব্যাপারে আরও সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছেন।

এই তদন্তের ফলাফল অনুযায়ী, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি, তবে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার সম্পর্ক কিছু বিতর্কের সৃষ্টি করেছে, যা তার মন্ত্রিত্বের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে।

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে