ঢাকা, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

'অদৃশ্য কারণে' মঈন সেনাপ্রধান: বিগ্রেডিয়ার আযমীর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য

২০২৫ জুলাই ০৫ ২২:১৯:২১
'অদৃশ্য কারণে' মঈন সেনাপ্রধান: বিগ্রেডিয়ার আযমীর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে স্পষ্ট করেছেন, ২০০৫ সালে তার সেনাপ্রধান হওয়ার গুঞ্জনটি "শতভাগ বানোয়াট ও কল্পিত।" তিনি এই ধরনের ভুল তথ্য প্রচারে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার (০৪ জুলাই) রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক দীর্ঘ লেখায় আযমী বলেন, সেনাবাহিনীতে যোগ্যতা ও দক্ষতার পাশাপাশি জ্যেষ্ঠতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনার বিষয়। তিনি জানান, ২০০৫ সালে তিনি কর্নেল থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি পান, তাই সেই সময় তার সেনাপ্রধান হওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠেনি।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, জেনারেল মঈন এবং তার পরবর্তী তিন সেনাপ্রধান – জেনারেল মুবিন, জেনারেল ইকবাল করীম ভুঁইয়া ও জেনারেল বেলাল – সকলেই তার সিনিয়র ছিলেন। আযমী বিশ্বাস করেন, যদি তাকে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত না করা হতো এবং সেনাবাহিনীর রাজনীতিকরণ না করা হতো, তাহলে হয়তো বা জেনারেল বেলালের পরে জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী তার নাম বিবেচনায় আসতো।

অনেকেই কারামুক্ত সাবেক ডিজি ডিজিএফআই জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দারকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব না দিয়ে জেনারেল মঈনকে দেওয়া হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট/কমেন্ট করছেন। এই তথ্যও "শতভাগ ভুল" বলে দাবি করেছেন আযমী।

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, রেজ্জাকুল হায়দার বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ৫ম শর্ট কোর্সের সাথে ১৯৭৭ সালে কমিশন লাভ করেন। তাই ২০০৫ সালে তারও সেনাপ্রধান হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসেনি।

তবে আযমী ১৯৭১ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি থেকে কমিশন পাওয়া চৌকস জেনারেল রেয়াজুল হায়দারের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ২০০৫ সালে তার সেনাপ্রধান হওয়ার কথা ছিল এবং তার ছবিসহ নাম কোনো কোনো পত্রিকায় প্রকাশিতও হয়েছিল। জেনারেল রেয়াজুল হায়দার, জেনারেল মঈনের তিন বছর এবং জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দারের ছয় বছর সিনিয়র ছিলেন। আযমী বলেন, "কোনো এক অদৃশ্য কারণে জেনারেল মঈন সেনাপ্রধান হন।"

মারুফ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে