ঢাকা, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

ফাঁসির মঞ্চ থেকে লাখো জনতার মঞ্চে হাজির

২০২৫ জুলাই ০৪ ২৩:৩১:২১
ফাঁসির মঞ্চ থেকে লাখো জনতার মঞ্চে হাজির

নিজস্ব প্রতিবেদক: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম দীর্ঘ কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন।

আজ শুক্রবার (০৪ জুলাই) বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জামায়াতে ইসলামীর বিভাগীয় জনসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি আবেগঘন ভাষায় নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন। ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বেকসুর খালাস পাওয়ার পর এটিই তার প্রথম জনসভা।

আজহারুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, "আজকে আমি ফাঁসির মঞ্চ থেকে লাখো জনতার মঞ্চে হাজির হয়েছি। সবই আল্লাহর মেহেরবানি, রহমত। যে গলায় আমার রশি পরানোর কথা ছিল, সেই গলায় ফুলের মালা পরানো হলো। আল্লাহ আমাকে মুক্ত করেছেন।"

তিনি বলেন, "আমি আজ মুক্তভাবে কথা বলতে পারছি। কিছুদিন আগেও আমি কারাগারে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আল্লাহ যে আমাকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে জনতার মঞ্চে নিয়ে আসবে, এটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানত না। ফাঁসির মঞ্চ থেকে আল্লাহ আমাকে জনতার মঞ্চে নিয়ে এসেছেন।" তিনি তার মুক্তির জন্য আল্লাহর প্রতি গভীর শোকরিয়া আদায় করেন এবং আমৃত্যু রংপুরের মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

জনসভায় এই কারা নির্যাতিত জামায়াতে ইসলামীর এই নেতা দাবি করেন, "রংপুরের জনগণ বলতে পারবে না যে, আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। কিন্তু আমাকে অপরাধী বানানো হলো। রংপুরের জনগণ সাক্ষী, যারা সাক্ষ্য দিয়েছে তারাও কিন্তু পরবর্তীকালে বলেছেন, আমাদের জোর-জুলুম করে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হয়েছে। আমার কারও প্রতি কোনো ক্ষোভ নেই, দুঃখ নেই।"

এছাড়াও, আজহারুল ইসলাম গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে নিহত আবু সাঈদের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, "যার বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেওয়ার মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল—যার পরিসমাপ্তি হয়েছিল ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট—৫ আগস্ট না হলে আপনারা আমার জানাজা পড়তেন—আমার মুক্তির জন্য আবু সাঈদ আমার পক্ষে কাজ করেছে; কেননা আমার মুক্তির প্রথম সোপান হচ্ছে আবু সাঈদ—তার মৃত্যুই আমাকে মুক্তির পথ দেখিয়ে দিয়েছে। আমি তার হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করছি।"

মারুফ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে