ঢাকা, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার অসীম

২০২৫ জানুয়ারি ১০ ১৮:২৮:৫৭
তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার অসীম

নিজস্ব প্রতিবেক: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি আলোচনা কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। বর্তমানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনে লন্ডন যাওয়ার পর থেকেই জোরদার হচ্ছে তিনি দেশে ফিরবেন ছেলে তারেক রহমানকে সঙ্গী করে।

যদিও এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য আসেনি। এ বিষয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন করা হয়েছিল বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীমকে। যমুনা টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম বলেন, তারেক রহমান ফিরবেন বা ফিরবেন না সেটা উনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে তারেক রহমান দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই।

তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে একটা জিনিস বলি- তারেক রহমানের মা চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবেন এবং আমরা আজকে দেখেছি জননেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৯টা ৫ মিনিটে যখন ইমিগ্রেশন ক্রস করে এসেছেন তখন জুবাইদা রহমান খালেদা জিয়াকে রিসিভ করেছেন, তারেক রহমান রিসিভ করেছেন এবং তারেক রহমান নিজে ড্রাইভ করে তার মাকে ক্লিনিকে নিয়ে গিয়েছেন, হসপিটালে নিয়ে গিয়েছেন।’

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রভাবশালী এই সদস্য বলেন, ‘ট্রিটমেন্ট কী হবে নাকি হবে না- এটা কিন্তু সাংঘাতিকভাবে কনফিডেনশিয়াল একটা বিষয়; যেটা কখনো প্রেসে আসা উচিত না। কারণ ডাক্তার ও রোগী যে রিলেশনশিপ সেটা কেউ কোনো দিন সে দেশে ডিসক্লোজ করবে না এবং আমাদের দেশেও সেটা কিন্তু কখনো সমীচীন না।’

বিএনপির এই আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বলেন, ‘তারেক রহমানের মামলার প্রক্রিয়াটা- এটা তো একটা বিচার প্রক্রিয়া কিংবা আপনার যে প্রসিডিউর যেটা আদালতের উচ্চতর আদালত বলেন, নিম্নতর আদালত বলেন, প্রত্যেকটার কিন্তু একটা প্রসিডিউরাল- একটা সময় আছে; সেই সময় অনুযায়ী কিন্তু মামলাগুলো চলছে; অনেক মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। কোনো মামলা হয়তো দেখা গেছে খালেদা জিয়ার প্রত্যাহার করেছে সরকার। তারেক রহমানের কিন্তু সবগুলো মামলা কন্টেস্ট করছেন তিনি। আর অল্প কয়কটা মাত্র মামলা আছে। ৮২টা মামলার মধ্যে ওনার ১৮টা মামলা আছে।’

ব্যারিস্টা নাসির উদ্দিন অসীম বলেন, মামলার শুনানি নিষ্পত্তি সাপেক্ষে তার ফিরতে কোনো অন্তরায় নেই; এমনকি তিনি এখনো কিন্তু আসতে পারেন বা চাইলে আগেও আসতে পারতেন; কিন্তু যেহেতু তার মা চিকিৎসা নেবেন এবং প্রেফারেবলি যেহেতু উনার বড় ছেলে তারেক রহমান লন্ডনে আছেন; উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনকে প্রেফার করেছেন সম্ভবত এবং চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে বড় সন্তান এবং উনার তো এখন একমাত্র সন্তান তারেক রহমান; তো সে কারণে মায়ের প্রতি পুত্রের যে কর্তব্য সেই কর্তব্যটা আগে উনি পালন করুক। আমি মনে করি নিঃসন্দেহে বিএনপির নেতাকর্মীরা এবং দেশের জনগণের যে প্রত্যাশা- তারেক রহমান ফিরবেন কিন্তু তার আগে নিশ্চয়ই সকলের প্রত্যাশা তিনি তার মায়ের সেবা শুশ্রূষা এবং মাকে এটেন্ড করবেন- এটাই কিন্তু এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চাওয়া।’

তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ফেসিস্টের কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন; অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি দিয়েছেন। এটাই কিন্তু খালেদা জিয়ার জন্য একটা মানসিক শক্তির বড় উৎস। খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হন। আরেকটা জিনিস- যেটা মানবাধিকার বঞ্চিত হন। উনার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সময় তার মেডিকেল টিম বলেছিলেন- তাকে বিদেশ পাঠানো অত্যন্ত প্রয়োজন; তাকে বিদেশ না পাঠিয়ে তার স্বাস্থ্যের যে ক্রমাবনতি যেটা ঘটেছে- সেটার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের বিচার হওয়া উচিত- এটা হলো একটা বিষয়। যখন আপনি মুক্তি পাবেন তখন মুক্তির আনন্দটাই কিন্তু একটা ভিন্ন রকম। তার মধ্য দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন দীর্ঘ সাত বছর পর তার পরিবারের বড় ছেলে যিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন উনার অনুপস্থিতিতে তার সঙ্গে দেখা হয়েছে, তার পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান, তার নাতি তারেক রহমানের সন্তান ব্যারিস্টার জাইমা রহমান তাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে- এটা স্বাভাবিকভাবেই কিন্তু একজন মানুষকে মানসিকভাবে অনেক বেশি সুস্থ করে তোলে। যতটুকু স্বাস্থ্যের অবনতি উনার ঘটেছে কিংবা শারীরিক যে অবস্থা- যেটা আমরা মনে করি সেটা অনেকটাই উত্তরণের পথে এই সাক্ষাৎ একটা বড় সহায়ক ভূমিকা হিসেবে নিয়েছেন বলে আমি মনে করি।’

মিজান/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে