ঢাকা, বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

এশিয়ায় বাড়ছে এইচএমপিভি সংক্রমণ, মহামারির শঙ্কা কতটা?

২০২৫ জানুয়ারি ০৮ ০৭:৩৫:৪৭
এশিয়ায় বাড়ছে এইচএমপিভি সংক্রমণ, মহামারির শঙ্কা কতটা?

ডেস্ক রিপোর্ট: চীনসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতে এ ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ার পর কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ ও গুজরাটে মোট চারটি শিশুর সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়া, হংকং, মালয়েশিয়া এবং তাইওয়ানেও এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা গেছে।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাইরাস মহামারির আকার ধারণ করার সম্ভাবনা কম।

ভারতে এইচএমপিভি সংক্রমণ:

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, কর্ণাটকে তিন মাস বয়সী একটি শিশু হাসপাতাল থেকে মুক্ত হয়েছে এবং আট মাস বয়সী আরেকটি শিশুর অবস্থাও স্থিতিশীল। কলকাতায়ও এক শিশুর সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তবে আক্রান্তদের কেউ বিদেশ ভ্রমণ করেনি। আইসিএমআর-এর পর্যবেক্ষণে এইচএমপিভি চিহ্নিত করা হয়েছে, তবে দেশটিতে শ্বাসযন্ত্রের রোগের কোনো অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখা যায়নি।

চীনে এইচএমপিভি পরিস্থিতি:

চীনের উত্তরাঞ্চলে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে শীতকালীন সময়ে তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণ রোধে চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যদিও ভাইরাসটি কোভিড-১৯-এর মতো উচ্চমানের হুমকি নয় বলে দেখা হচ্ছে। চীনের জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ প্রশাসন অজানা নিউমোনিয়ার পর্যবেক্ষণের জন্য একটি পাইলট প্রোগ্রাম চালু করেছে।

মালয়েশিয়া ও হংকংয়ের পরিস্থিতি:

মালয়েশিয়ায় ২০২৩ সালে ২২৫টি সংক্রমণের তুলনায় ২০২৪ সালে ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩২৭টি সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। হংকং ও তাইওয়ান অন্যান্য দেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। কম্বোডিয়ায় কোভিড-১৯ ও ইনফ্লুয়েঞ্জার সঙ্গে এইচএমপিভির সাদৃশ্যের কারণে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

এইচএমপিভি আক্রান্তদের লক্ষণ:

এইচএমপিভি একটি শ্বাসযন্ত্রজনিত ভাইরাস, যা নিউমোভাইরিডি পরিবারের সদস্য। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • কাশি
  • নাসারন্ধ্র দিয়ে পানি পড়া
  • জ্বর
  • গলা ব্যথা
  • হাঁপানি
  • ত্বকে ফুসকুড়ি
  • শ্বাসকষ্ট

গুরুতর ক্ষেত্রে এটি ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ায় পরিণত হতে পারে। ভাইরাসটি সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা অথবা দূষিত পৃষ্ঠ স্পর্শ করার মাধ্যমে ছড়ায়।

প্রতিরোধ ও চিকিৎসা:

এইচএমপিভির জন্য নির্দিষ্ট কোনো অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা বা টিকা নেই। আক্রান্তদের বিশ্রাম, হালকা খাবার খাওয়া এবং শীত থেকে সুরক্ষিত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:

  • মাস্ক পরা
  • নিয়মিত হাত ধোয়া
  • বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখা
  • জনাকীর্ণ স্থান এড়ানো

বিশেষজ্ঞরা জানান, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তবে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, দুর্বলতা, কাশি অথবা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আরিফ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে