ঢাকা, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
Sharenews24

বন্ধ হচ্ছে দল পরিবর্তন করে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ

২০২৪ ডিসেম্বর ০৪ ১২:১১:৩১
বন্ধ হচ্ছে দল পরিবর্তন করে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনে নিজ দলের মনোনয়ন না পেয়ে অন্য দলের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ বন্ধ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন’। এছাড়া যদি কোন ব্যক্তি দল পরিবর্তন করে অন্য দলের প্রার্থী হতে চায়, তাহলে ওই দলে তিন বছরের সদস্য পদ থাকা বাধ্যবাধকতার প্রস্তাব করা হচ্ছে।

জানা গেছে, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’ ছিল। ওই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগ মুহূর্তে বিএনপি নির্বাচন না করায় আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। ওই নির্বাচনে তিনি জয়ীও হন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্যরা এ ধরনের খেলা বন্ধের বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন।

সূত্র জানায়, নির্বাচন ব্যবস্থায় অন্তত ১৫-১৬টি বিষয়ের ওপর সংস্কার প্রস্তাব করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে কমিশন। বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপে ওইসব বিষয়ের ওপর মতামতও নিচ্ছে। এসব বিষয়ের অন্যতম হচ্ছে-নির্বাচনে অটোপাশ বন্ধ করা। বর্তমানে কত শতাংশ ভোট পড়লে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে- তার কোনো মান নির্ধারণ করা নেই। ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারির সময়ে অনুষ্ঠিত ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে মাত্র সোয়া ৫ শতাংশ ভোট পড়ে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন মাত্র ১৫ হাজার ৯৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ভোটারের অংশবিহীন এমন নির্বাচন বন্ধে সুপারিশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য ভোট পড়ার ন্যূনতম একটি হার নির্ধারণ করে এর কম ভোট পড়লে- তা বাতিলের সুপারিশ করবে। ওই হার ৫০ শতাংশ হবে নাকি আরও কম হবে-তা চূড়ান্ত হয়নি।

অন্যান্য বিবেচনাধীন সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- আরপিওতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত করা, ‘না’ ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনা, নির্বাচন এবং প্রার্থিতা বাতিলে ইসির ক্ষমতা বাড়ানো, পোস্টাল ব্যালট কার্যকর করা এবং সংসদীয় নারী আসনের সংখ্যা বাড়ানো ও নির্বাচন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা। আরও রয়েছে- রাজনৈতিক দলের ভেতরে গণতন্ত্র চর্চা, প্রার্থী, রাজনৈতিক দল, ভোটার, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের নির্বাচনি অপরাধের সাজা সুনির্দিষ্ট করা, নির্বাচনি ব্যয়ের রিটার্ন অডিট করা, হলফনামার তথ্য যাচাই করা, নির্বাচনি অভিযোগ দাখিল ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থাপনা, প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেওয়া, নির্বাচনি মামলা নিষ্পত্তিতে সময় বেঁধে দেওয়া ও ইসির ভূমিকা, স্থানীয় সরকারের নির্বাচন এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত বিধিবিধান সংস্কার করা।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা অনেক বিষয়ে সংস্কারের জন্য সুপারিশ করার লক্ষ্যে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি। তবে কোনো বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি। অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার পর বিষয়গুলো চূড়ান্ত করব। তবে যেসব বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি তার মধ্যে প্রার্থী হতে দলের তিন বছর সদস্যপদ থাকা, না ভোট যুক্ত করা, সংসদের উচ্চকক্ষের প্রবর্তন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেওয়ার মতো বিষয়গুলো রয়েছে।

এস/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে