ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

যেভাবে এখনো প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ রয়েছে কমলার!

২০২৪ নভেম্বর ১১ ২৩:৩৪:৫৮
যেভাবে এখনো প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ রয়েছে কমলার!

নিজস্ব ডেস্ক: ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস রিপাবলিকান নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে আমেরিকায় নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা আবারও শেষ হয়ে গেল।

কিন্তু সংবাদ মাধ্যম বলছে এখনো সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি কমলার। জো বাইডেন চাইলে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেতে পারে আমেরিকা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে ও নিউইয়র্ক পোস্টসহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম প্রথক পৃথক প্রতিবেদেন বলেছ, ডেমোক্র্যাটদের একটি অংশ চাইছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যাতে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তাতে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ খুলে যাবে কমলার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকার আইনেও এতে কোনো বাধা নেই। আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে ক্ষমতায় থাকবেন জো বাইডেন।

আইন বলছে, তিনি মারা গেলে বা সরে দাঁড়ালে ভাইস প্রেসিডেন্ট পাবেন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব। এতে আলাদা কোনো ভোটও লাগবে না, কারও বাধাও থাকবে না।

এমনটি হলে আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হবেন কমলা হ্যারিস। প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পাবে আমেরিকা। এ ছাড়া প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রেসিডেন্টও পাবে দেশটি।

এদিকে ইউএসএ টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইস্যুটি প্রথম সামনে আনেন কমলা হ্যারিসের সাবেক যোগাযোগ পরিচালক জামাল সিমন্স। গত রোববার সিএনএনের এক প্রোগ্রামে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত ৭১ দিনে কী কী গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটতে পারে?

সিএনএনকে জামাল সিমন্স বলেন, ‘আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জো বাইডেন পদত্যাগ করলে কমলা হ্যারিস হতে পারেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।’

জামাল সিমন্স আরও বলেন, ‘জো বাইডেন একজন অসাধারণ প্রেসিডেন্ট। তিনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার অনেকগুলোই পূরণ করেছেন। এই মুহূর্তে একটি প্রতিশ্রুতি বাকি আছে, যা তিনি পূরণ করতে পারেন। আর তা হলো, একটি ক্রান্তিকালীন ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠা।’

প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের বেশকিছু কারণের মধ্যে রয়েছে তাঁর দেরিতে মনোনয়ন পাওয়া। এ বিষয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেই দুষছেন সাবেক হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।

পেলোসির মতে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করতে পারতো।

বাইডেন নির্বাচনী প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর তড়িঘড়ি করে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ায় কমলা হ্যারিস নিজের শক্তিমত্তার প্রমাণ দিতে পারেননি বলে দাবি ন্যান্সি পেলোসির।

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক এই স্পিকার আরও বলেন, বাইডেন আরও আগে প্রার্থিতা থেকে সরে এলে কমলা জনগণের আরও কাছে যেতে পারতেন।

তবে, জো বাইডেনের পদত্যাগের ব্যাপারে এখনো হোয়াইট হাউস থেকে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তিনি সরে দাঁড়ালে নতুন ইতিহাস রচিত হতে পারে আমেরিকায়। সেটি হয়তো কমলার জন্য এতটা সুখকর হবে না। কেননা তিনি নির্বাচনে পপুলার ভোটেও জিততে পারেননি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এভাবে একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাওয়া আমেরিকার জন্য সুখবর হতে পারে না। আর কমলা হ্যারিস হয়তো সেটা চাননি।

তবে সময়ই বলে দেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কোন পথে হাঁটবেন।

মামুন/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে