ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

মুস‌লিম জনসংখ্যা নি‌য়ে বিজেপির দা‌বি বিভ্রা‌ন্তিকর এবং মিথ্যা

২০২৪ মে ১০ ১৫:০৮:৫৬
মুস‌লিম জনসংখ্যা নি‌য়ে বিজেপির দা‌বি বিভ্রা‌ন্তিকর এবং মিথ্যা

ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদ একটি গবেষণা করেছে, যা দেশটির বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম বৃহস্পতিবার (১০ মে) প্রকাশ করেছে।

বিজেপি বলছে, ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ১৬৭টি দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনসংখ্যা বেড়েছে। তাদের এই দাবি একদিকে যেমন বিভ্রান্তিকর তেমনি মিথ্যা।

প্রকাশনার বিষয় ছিল, ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা ১৯৫০ সালে যেখানে ছিল মোট জনসংখ্যার ৯.৮৪ শতাংশ, ২০১৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৪.০৯ শতাংশ। অন্যদিকে ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা এই সময়ের মধ্যে ৮৪.৬৮ শতাংশ থেকে কমে ৭৮.০৬ শতাংশ হয়েছে।

ভারতের লোকসভা নির্বাচন চলছে। ভোটের ফলে বিপর্যস্ত ক্ষমতাসীন বিজেপি। একের পর এক ইস্যু তুলে মুসলমানদের ওপর হামলা চালিয়ে হিন্দু ভোট বাড়ানোর জন্য পুরনো কৌশল অবলম্বন করছে।

বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালভিয়া বলেছেন, ‘দশকের পর দশক কংগ্রেসের শাসনের কারণে এটি হয়েছে। কংগ্রেস আবার ক্ষমতায় এলে দেশে আর হিন্দু থাকবে না।’ তবে কংগ্রেস এই বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন, ‘একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ভারতের জনসংখ্যার পরিবর্তন হচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেস তাদের জন্য শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে কোটা সংরক্ষণ করতে চেয়েছিল!’

চন্দ্রশেখরের প্রথম দাবিটি বিভ্রান্তিকর এবং দ্বিতীয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ধর্মের ভিত্তিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কথা নতুন নয়। এটি একটি স্বাভাবিক প্রবণতা যা আদমশুমারিতে দেখা যায়। এর প্রমাণ ভালোভাবে নথিভুক্ত।

আদমশুমারির তথ্য অনুসারে, ১৯৫১ সাল থেকে দেশটির মুসলিম জনসংখ্যা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি গত তিন দশক ধরে বৃদ্ধির হারও কমছে।

চন্দ্রশেখরের দ্বিতীয় দাবিটি নিছক মিথ্যা। কংগ্রেস ধর্মের ভিত্তিতে কোটা সংরক্ষণ করতে চায় এমন দাবি একাধিক সংস্থার দ্বারা যাচাই করা হয়েছে। কংগ্রেসের ইস্তেহারে এমন কোনো প্রতিশ্রুতি নেই।

( স্ক্রল ডট ইন থেকে অনুবাদ)

শেয়ারনিউজ, ১০ মে ২০২৪

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে