ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ জানুয়ারি ২০২৬
Sharenews24

শেয়ারবাজার থেকে তারেক রহমানের আয় বছরে পৌনে ৭ লাখ টাকা

২০২৬ জানুয়ারি ০১ ০০:২৫:৩৫
শেয়ারবাজার থেকে তারেক রহমানের আয় বছরে পৌনে ৭ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ ও ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী হিসেবে নিজের সম্পদের হিসাব দাখিল করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, তারেক রহমানের ক্যাশ ও ব্যাংকে জমা আছে মোট ৩১ লাখ ৫৮ হাজার ৪২৮ টাকা।

অন্যদিকে, তাঁর স্ত্রী পেশায় চিকিৎসক জুবাইদা রহমানের নামে রয়েছে ৬৬ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪৭ টাকা। তারেক রহমান তাঁর পেশা হিসেবে ‘রাজনীতি’ উল্লেখ করেছেন এবং মেয়ে জাইমা রহমানকে একজন ছাত্রী হিসেবে দেখিয়েছেন।

আয়কর রিটার্নের হিসাব অনুযায়ী, বিএনপির এই শীর্ষ নেতা ১ কোটি ৯৬ লাখ ৮০ হাজার ১৮৫ টাকার সম্পদের তথ্য দিয়েছেন এবং আয়কর জমা দিয়েছেন ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭১৩ টাকা। আশ্চর্যের বিষয় হলো, দেশে বা বিদেশে নিজের নামে কোনো বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট কিংবা বাণিজ্যিক স্থাপনা নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার, বন্ড এবং ব্যাংক আমানত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় হয় ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫৩ টাকা।

অস্থাবর সম্পদের বিস্তারিত বিবরণে তারেক রহমান জানিয়েছেন, অর্জনকালীন মূল্যে তাঁর বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ও বিনিয়োগ রয়েছে যথাক্রমে ৫ লাখ, ৪৫ লাখ এবং ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার। এছাড়া ব্যাংকে নিজের নামে ৯০ লাখ ২৪ হাজার ৩০৭ টাকার এফডিআর এবং সামান্য কিছু সঞ্চয় ও অন্যান্য আমানত রয়েছে। স্ত্রীর নামেও ৩৫ লাখ টাকার এফডিআর থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর বাইরে সামান্য মূল্যের অলঙ্কার এবং পৌনে দুই লাখ টাকার আসবাবপত্র রয়েছে তাঁর।

স্থাবর সম্পদের ক্ষেত্রে তারেক রহমান জানিয়েছেন, তাঁর কোনো কৃষিজমি নেই। তবে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা অর্জনকালীন মূল্যের সামান্য কিছু অকৃষিজমি এবং উপহার হিসেবে পাওয়া ২.৯ শতাংশ বসতভিটা রয়েছে। তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমানের নামে ১১১.২৫ শতাংশ যৌথ মালিকানার জমি এবং ৮০০ বর্গফুটের একটি দোতলা ভবন রয়েছে, যার আর্থিক মূল্য অজানা। হলফনামায় তারেক রহমান স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে তিনি কোনো দেশের দ্বৈত নাগরিক নন এবং তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক।

মামলা সংক্রান্ত তথ্যে দেখা যায়, বর্তমানে তারেক রহমানের নামে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। ২০০৭ সাল থেকে তাঁর বিরুদ্ধে মোট ৭৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল, যার সবকটি থেকেই তিনি খালাস, অব্যাহতি কিংবা মামলাগুলো প্রত্যাহার ও খারিজ হয়েছে। নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২০ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় এবং ১২ ফেব্রুয়ারি একই সঙ্গে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।

মামুন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে