নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে আর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক এবং নয় মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ধারাবাহিক লোকসান থাকলেও আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছুটা ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এই অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এর আগে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

২০২৫ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকে পিপলস লিজিংয়ের শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ১৫ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৪ টাকা ১৭ পয়সা। ফলে এক বছরের ব্যবধানে তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে ১ টাকা ২ পয়সা, যা শতাংশের হিসাবে ২৪.৪৬ শতাংশ।

অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের নয় মাস বা তিন প্রান্তিক মিলিয়ে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, ২০২৫) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৭৭ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই লোকসান ছিল ৯ টাকা ৯০ পয়সা। সে হিসাবে নয় মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে ১৩ পয়সা বা ১.৩১ শতাংশ।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, লোকসান কমলেও কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থান এখনো চাপের মধ্যেই রয়েছে। ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে পিপলস লিজিংয়ের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। ওই সময় পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ঋণাত্মক এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৫২ টাকা ৬৯ পয়সা।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, শেয়ারপ্রতি লোকসান কমা একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হলেও বড় অঙ্কের ঋণাত্মক এনএভি কোম্পানিটির সামগ্রিক আর্থিক অবস্থার জন্য এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। ভবিষ্যতে পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধি ও কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া এই সংকট কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে বলে মনে করছেন তারা।

সালাউদ্দিন/