ঢাকা, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

‘বাবরের পথ ধরো, সেভেন সিস্টার স্বাধীন করো’ স্লোগানে প্রতিবাদ

২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ১৭:৫৬:২৭
‘বাবরের পথ ধরো, সেভেন সিস্টার স্বাধীন করো’ স্লোগানে প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন মামলার পলাতকদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আয়োজিত ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচি শেষ করেছে ‘জুলাই ঐক্য’। কর্মসূচি চলাকালে ‘বাবরের পথ ধরো, সেভেন সিস্টার স্বাধীন করো’ ‘যে ভারত হাসিনাকে পোষে, সে ভারত ভেঙে দাও’সহ একাধিক উত্তেজনাকর স্লোগান দেন অংশগ্রহণকারীরা।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এ সময় জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে ভারতীয় প্রক্সি হিসেবে চিহ্নিত রাজনৈতিক দল ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানানো হয়।

এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর রামপুরা সেতু এলাকা থেকে লং মার্চ শুরু হয়। বিকেল চারটার দিকে বাড্ডার হোসেন মার্কেটের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলটি আটকে দেয়। পরে ব্যারিকেডের সামনেই প্রগতি সরণিতে অবস্থান নিয়ে বক্তব্য দেন আন্দোলনকারীরা। লং মার্চ ঘিরে বিকেল তিনটা থেকে পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত ওই সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল।

হোসেন মার্কেট এলাকায় অবস্থানকালে জুলাই ঐক্যের নেতারা অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা বলেন, ভারত এসব ব্যক্তিকে নিরাপদ আশ্রয় দিয়ে কার্যত সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। দ্রুত তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান বক্তারা।

একই সঙ্গে বক্তারা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল ভারতের সঙ্গে সখ্য গড়ে ক্ষমতায় ফেরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মাধ্যমে দেশে সন্ত্রাসের শাসন কায়েম করেছিলেন এবং এখন নতুন করে একই পথ অনুসরণের চেষ্টা চলছে। তারা স্পষ্ট করে বলেন, বাংলাদেশে এ ধরনের রাজনৈতিক সম্পর্ক মেনে নেওয়া হবে না।

সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে বক্তারা বলেন, নিয়মিতভাবে সীমান্ত এলাকায় নিরীহ বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। এসব হত্যাকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানান তারা।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে জুলাই ঐক্যের নেতারা বলেন, সেই সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। তবে বর্তমান সময়ে ভারতের আগ্রাসী ভূমিকা বন্ধ না হলে বাংলাদেশ আর নতিস্বীকার করবে না। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রয়োজনে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোকে স্বাধীন করার আন্দোলনে সমর্থন দিয়েই প্রতিদান দেওয়া হবে।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ স্লোগান দেন—‘বাবরের পথ ধরো, সেভেন সিস্টার স্বাধীন করো’। তার সঙ্গে লং মার্চে অংশ নেওয়া কয়েকশ মানুষ একই স্লোগানে কণ্ঠ মেলান। পাশাপাশি ‘যে ভারত খুন করে, সে ভারত ভেঙে দাও’ এবং ‘যে ভারত হাসিনাকে পোষে, সে ভারত ভেঙে দাও’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

এমজে/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে