ঢাকা, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

কুরআন ও হাদিসে মুমিনকে যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সতর্ক করেছে

২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১৮:৪৯:০২
কুরআন ও হাদিসে মুমিনকে যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সতর্ক করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানুষের দেহে ছোট হলেও সবচেয়ে শক্তিশালী অঙ্গ হলো জিহ্বা। এটি কেবল কথার মাধ্যম নয়; একজন মুমিনের ইমান, চরিত্র ও আদব প্রকাশ পায় এখান দিয়ে। তাই কুরআন ও সুন্নাহে মুমিনকে সর্বাধিক সতর্ক করা হয়েছে জিহ্বার সংযম বিষয়ে।

কুরআনের আলোকে জিহ্বার সংযম

গীবত নিষিদ্ধ:“তোমরা একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের কেউ কি ভালোবাসে যে, সে তার মৃত ভাইয়ের মাংস খাবে?” (হুজুরাত: ১২)

সত্য কথা বলার নির্দেশ:“হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্য কথা বলো।” (আল-আহযাব: ৭০)

অহেতুক কথায় সময় নষ্ট না করা:“নিশ্চয়ই সফল হয়েছে মুমিনরা… যারা অর্থহীন কথাবার্তা থেকে বিরত থাকে।” (আল-মুমিনুন: ১–৩)

হাদিসের আলোকে জিহ্বার সংযম

জিহ্বা নিয়ন্ত্রণে রাখলে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি:“যে ব্যক্তি আমাকে তার জিহ্বা ও গোপনাঙ্গ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের দায়িত্ব নেব।” (বুখারি ৬৪৭৪)

এক কথায় ধ্বংস বা মর্যাদা বৃদ্ধি:“নিশ্চয় বান্দা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির কথা বলে, আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। আবার বান্দা যখন আল্লাহর অসন্তুষ্টির কথা বলে, সে জাহান্নামে পতিত হয়।” (বুখারি ৬৪৭৮)

ভালো কথা অথবা নীরবতা:“যে আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা নীরব থাকে।” (বুখারি ৫৫৯৩)

মুমিনের জিহ্বার বৈশিষ্ট্য

সদা সত্য কথা বলে

অকারণ কথা থেকে দূরে থাকে

গীবত, অপবাদ ও পরনিন্দা এড়িয়ে চলে

কোমল ও সুন্দর কথা বলে

মানুষের মন ভাঙে না

রাগের সময় নীরবতা অবলম্বন করে

জিহ্বা ছোট হলেও এর নিয়ন্ত্রণের পুরস্কার বিশাল। একজন মুমিনের কথার প্রতিটি শব্দ যেন কল্যাণ, সত্য ও ভালোবাসার প্রতিফলন হয়। তাই আমাদের উচিত জিহ্বার সংযম এবং নৈতিক কথাবলীর চর্চা, যা সমাজে শান্তি, সম্মান ও আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার পথ খুলে দেয়।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

ধর্ম ও জীবন এর সর্বশেষ খবর

ধর্ম ও জীবন - এর সব খবর



রে