ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

সীরাত নিয়ে ভিপি সাদিক কায়েমের হৃদয়ছোঁয়া বক্তব্য

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১১:০৩:১৪
সীরাত নিয়ে ভিপি সাদিক কায়েমের হৃদয়ছোঁয়া বক্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি (সহ-সভাপতি) আবু সাদিক কায়েম সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে রাসূল (সা.)-এর সীরাত, ইসলাম, ন্যায়বিচার, এবং বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে এক আবেগপূর্ণ ও হৃদয়গ্রাহী বক্তব্য দেন। এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

ভিপি সাদিক বলেন, এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্ল মার্কস, লেনিন, এমনকি স্যামুয়েল পি হান্টিংটনের থিসিস নিয়ে আলোচনা হতো, কিন্তু আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর জীবনচর্চা (সীরাত) নিয়ে ছিল অলিখিত নিষেধাজ্ঞা।

তিনি অভিযোগ করেন, কুরআন চর্চা বা মিলাদুন্নবীর মতো ধর্মীয় আয়োজনে শিক্ষার্থীদের শোকজ করা হতো, যেটি ছিল ধর্মীয় অধিকার হরণের শামিল।

তিনি বলেন,"আলহামদুলিল্লাহ, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা আজ স্বাধীনতা পেয়েছি। এখন আমরা ইসলামের কথা বলতেও ভয় পাই না।"

তিনি ইঙ্গিত করেন যে, দীর্ঘ ১৬ বছরের দমননীতির অবসান ঘটেছে এবং এখন দেশের মুসলমানরা উন্মুক্তভাবে তাদের বিশ্বাসের চর্চা করতে পারছে।

তিনি সীরাত সম্পর্কে বলেন,"রাসূল (সা.)-এর সীরাত পড়লে জীবনের সব সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়।"

তিনি পবিত্র কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন:"তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের জীবনে রয়েছে উত্তম আদর্শ" (সূরা আহযাব ৩৩:২১)

ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ইসলামে জ্ঞান সব সময়ই অগ্রাধিকার পেয়েছে।প্রথম ওহিই ছিল: "ইকরা" — পড়ো।বদরের যুদ্ধে বন্দীদের মুক্তির শর্ত ছিল তারা যেন মুসলমানদের শিক্ষা দেয়।

তিনি বলেন,"জ্ঞান সেই এলেম, যা মানুষের কল্যাণের জন্য ব্যবহার করা হয় — এমন জ্ঞানই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।"

তিনি বলেন,"ইসলাম ইনসাফ ও আদলের ধর্ম। রাসূল (সা.) নিজের মেয়ের ক্ষেত্রেও অন্যায় বরদাস্ত করতেন না।"

তিনি উল্লেখ করেন যে,"আমার মেয়ে ফাতিমাও (রাঃ) যদি চুরি করতো, আমি তার হাত কেটে ফেলতাম" — রাসূল (সা.)

মাদানি জীবনের উদাহরণ দিয়ে ভিপি বলেন, রাসূল (সা.) সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন —হিলফুল ফুযুল গঠন করেছিলেন,জাতিগত বিভাজন রোধে কাজ করেছেন

ভিপি সাদিক স্মরণ করিয়ে দেন রাসূল (সা.)-এর বিদায় হজের ভাষণ:"আমি তোমাদের জন্য রেখে যাচ্ছি কুরআন ও সুন্নাহ। যতদিন এই দুটি আঁকড়ে ধরবে, তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না।"

তিনি বলেন,"আজ মুসলমানরা সারা বিশ্বে নির্যাতিত। এর মূল কারণ — আমরা কুরআন ও হাদিস থেকে দূরে সরে গেছি।"

তিনি আহ্বান জানান,"আসুন, আমরা কুরআন ও সীরাতকে জীবনের মূল গাইডলাইন হিসেবে গ্রহণ করি, ইনসাফ ও জ্ঞানের সমাজ গড়ি।"

ভিপি কায়েম বক্তৃতার শেষে জুলাই বিপ্লবের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং দোয়া করেন যেন তারা জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান হন।

ভিপি আবু সাদিক কায়েমের এই বক্তব্য ছিল ধর্মীয় মূল্যবোধ, ইতিহাস চেতনা, এবং সমাজ বদলের স্পষ্ট বার্তা। তার বক্তব্যে উঠে এসেছে নতুন প্রজন্মের বিশ্বাস, দায়িত্ববোধ, এবং নেতৃত্বের প্রস্তুতি।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

ধর্ম ও জীবন এর সর্বশেষ খবর

ধর্ম ও জীবন - এর সব খবর



রে