ঢাকা, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

এবার হাসিনার মতো পালাতে হবে মোদিকে নেপথ্যে যে কারণ 

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১০ ১৭:২২:১১
এবার হাসিনার মতো পালাতে হবে মোদিকে নেপথ্যে যে কারণ 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সম্প্রতি প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে, দেশটি বহুমুখী নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জে জর্জরিত। তার এই স্বীকারোক্তি ভারতীয় সামরিক বাহিনীর মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ ও অস্থিরতা প্রমাণ করে। অনেকে মনে করছেন, এমন বিশৃঙ্খলা চলতে থাকলে একসময় ভারতের কিছু রাজ্য হাতছাড়া হতে পারে এবং দেশটি টুকরো টুকরো হয়ে যেতে পারে।

'থিয়েটারাইজেশন' নিয়ে বিতর্ক:

সেনাপ্রধান দ্বিবেদী তথাকথিত 'থিয়েটারাইজেশন' চালুর জন্য মরিয়া চেষ্টার কথা বললেও তার বক্তব্যে উদ্বেগ ও অস্থিরতা প্রকাশ পেয়েছে। তিনি মানেক শ কেন্দ্রে 'অপারেশন সিদুর: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অব ইন্ডিয়াজ ডিপ স্ট্রাইকস ইনসাইড পাকিস্তান' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "থিয়েটারাইজেশন আসবেই, আজ হোক বা কাল। শুধু সময়টা কত লাগবে সেটাই প্রশ্ন।" তবে এই মন্তব্য ভারতের সামরিক বাহিনীর মধ্যে তীব্র টানাপোড়েন ও দ্বিধা তৈরি করেছে। গত মাসে মধ্যপ্রদেশের মাউতে 'রণ সংবাদ' নামের সেমিনারে ভারতীয় বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রধানেরা প্রকাশ্যে থিয়েটারাইজেশন নিয়ে দ্বিমত জানিয়েছেন। বিমানবাহিনীর প্রধান স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, বাহিনীগুলোকে কোনো চাপের মুখে পড়ে থিয়েটার কমান্ডে আনা উচিত নয়। নৌবাহিনীও এ বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। অর্থাৎ, ভারতের তিন বাহিনীই নিজেদের মধ্যে সমন্বয় হারিয়েছে।

অর্থনৈতিক দুর্বলতা ও প্রতিরক্ষা শিল্প:

দ্বিবেদী আরও স্বীকার করেন যে, প্রতিরক্ষা শিল্পে ভারতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলোর হাতে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। সেই কারণেই সরকারকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করতে হয়েছে। তিনি মনে করেন, এতে আধুনিকীকরণ কিছুটা ত্বরান্বিত হবে। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরীণ আর্থিক দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। অস্ত্রশস্ত্র কেনার জন্য যখন কর কমানোর ভরসা নিতে হয়, তখন বোঝা যায় দেশটি কতটা চাপের মুখে আছে।

সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ:

সেনাপ্রধানের মতে, একক কোনো বাহিনী যুদ্ধ জিততে পারে না। সীমান্তে সেনা থাকলেও সঙ্গে আছে বিএসএফ, আইটিবিপি, সাইবার এজেন্সি, মহাকাশ সংস্থা এমনকি সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পর্যন্ত। এতগুলো সংস্থার মধ্যে সমন্বয় না হলে ভারত নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না বলেই তিনি সরাসরি স্বীকার করেন। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র-পৃষ্ঠপোষক সন্ত্রাসবাদ বন্ধ হয়নি, কারণ অনুপ্রবেশের চেষ্টা এখনও চলছে। তার এই মন্তব্য আসলে স্বীকারোক্তি যে, ভারতীয় সেনা এখনও সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না। প্রতিদিনের মতো অনুপ্রবেশ, সংঘর্ষ এবং সন্ত্রাসের আতঙ্ক দেশের জনগণকেও অশান্ত করে তুলছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের এই স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে যে, আজকের ভারত নিজেই অনিরাপত্তার বলয়ে আবদ্ধ একটি আতঙ্কিত রাষ্ট্র। থিয়েটারাইজেশন নিয়ে বড় বড় কথা বলা হলেও তিন বাহিনীর মধ্যে ঐক্য নেই, এবং প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক দিক থেকেও দুর্বলতা প্রকট। সীমান্তে সন্ত্রাস রুখতে ব্যর্থ ভারত তাই আতঙ্ক চেপে রাখতে পারছে না।

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে