ঢাকা, শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

জুমার দিনের যে আমলে উট সদকার সওয়াব মেলে

২০২৫ আগস্ট ০১ ১১:৩৩:২৭
জুমার দিনের যে আমলে উট সদকার সওয়াব মেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুমার দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য এক বিশেষ নিয়ামত হিসেবে বিবেচিত। নবী করিম (সা.) এই দিনটিকে সপ্তাহের সেরা দিন হিসেবে ঘোষণা করেছেন। জুমার দিন কেবল একটি নামাজ আদায়ের সময় নয়, বরং এদিনের প্রতিটি মুহূর্তেই রহমত, বরকত ও মাগফিরাত বর্ষিত হয়।

বিশেষ করে যারা আগেভাগে মসজিদে গিয়ে নামাজের খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনেন, তাদের জন্য রয়েছে অতুলনীয় সওয়াবের প্রতিশ্রুতি। এমনকি কারও নামের পাশে লেখা হতে পারে ‘উট সদকার সওয়াব’ পর্যন্ত! হাদিস ও কোরআনের আলোকে জানা যায়, এই দিনটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে এটি যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা জুমার নামাজের জন্য আগেভাগে মসজিদে যাওয়ার তাগিদ দিয়ে বলেন,

“হে মুমিনগণ, জুমার দিনে যখন নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ত্যাগ করো। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।”(সূরা জুমুআ: ৯)

নবী করিম (সা.) বলেছেন,“ফেরেশতারা জুমার দিনে মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকে। তারা প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লেখেন। সবার আগে যে আসে, তার নামে একটি উট সদকার সওয়াব লেখা হয়। তারপর যে আসে, ওই ব্যক্তির আমলনামায় একটি গাভি, এরপর একটি মুরগি, তারপর একটি ডিম সদকার সওয়াব লেখা হয়। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে আসেন, তখন ফেরেশতারা আমল লেখার খাতা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনেন।”(সহিহ্ বুখারি: ৮৮২)

একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিসে এসেছে,“জুমার দিন যে গোসল করে, জুমার সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে যাবে, যাওয়ার সময় কোনো বাহনে চড়বে না—হেঁটে যাবে, ইমামের কাছাকাছি বসবে, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং খুতবার সময় কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না—সে মসজিদে আসার প্রতিটি কদমে এক বছর নফল রোজা রাখা এবং এক বছর নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব পাবে।”(সুনানে আবু দাউদ: ৩৪৫, জামে তিরমিজি: ৪৫৬)

জুমার দিন শুধুমাত্র একটি নামাজ আদায়ের সময় নয়, এটি নেকি অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ। আগেভাগে মসজিদে উপস্থিত হওয়া, খুতবা শোনা এবং অনর্থক কাজ পরিহার করার মাধ্যমে আমরা এমন সওয়াব অর্জন করতে পারি যা বহু নফল রোজা ও নামাজের সমতুল্য।

জুমার নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে মসজিদে উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও নির্দিষ্ট কিছু শর্তে বাড়িতেও আদায় করা যায়, তবুও মসজিদে গিয়ে সম্মিলিতভাবে নামাজ আদায় করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

অতএব, আমাদের উচিত জুমার দিনকে হালকাভাবে নেওয়া নয়। বরং পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে, অন্তর নিঃস্বার্থ করে আল্লাহর ঘরে ছুটে যাওয়া একজন ইমানদারের পরিচয়। আল্লাহ তাআলা যেন আমাদের জুমার দিনের মর্যাদা বুঝে তা যথাযথভাবে পালন করার তৌফিক দান করেন।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

লাইফ স্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফ স্টাইল - এর সব খবর



রে