ঢাকা, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

বাংলাদেশ ব্যাংকে অস্থিরতা, বিনিয়োগকারীর হুঁশিয়ারি 

২০২৫ জুলাই ১৪ ১১:৫৪:৫৭
বাংলাদেশ ব্যাংকে অস্থিরতা, বিনিয়োগকারীর হুঁশিয়ারি 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করার হুমকি দিয়েছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি ফিনান্সিয়াল গ্রুপ হোল্ডিংস এজি। ২০০৮ সালের একটি শেয়ার ক্রয়চুক্তি লঙ্ঘন এবং বিনিয়োগ সুরক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড (সাবেক ওরিয়েন্টাল ব্যাংক লিমিটেড - ওবিএল)-এর প্রধান শেয়ারহোল্ডার এই গ্রুপ। ৭ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে গ্রুপটি উল্লেখ করে, ২০০৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষরিত চুক্তির শর্তগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক মানেনি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাংকটির পুনর্গঠন ও মূলধন পুনঃসংস্থান প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে ৩৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়। বিনিয়োগের সময় আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, এই শেয়ারগুলো কোনো দাবি বা আইনি জটিলতা থেকে মুক্ত থাকবে। কিন্তু ওবিএলের সাবেক শেয়ারহোল্ডারদের দায়ের করা একাধিক মামলার কারণে মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ এখনো আইসিবি গ্রুপের কাছে পুরোপুরি আসেনি।

বিশেষ করে ২০১৪ সালের একটি মামলায় হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিল, বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গ্রুপটি শেয়ার বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবে না। এর ফলে বিনিয়োগ কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে।

আইসিবি গ্রুপের চেয়ারপারসন জোসেফিন সিভারেত্নাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এই মামলাগুলোর নিষ্পত্তিতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ড কর্তৃক প্রস্তাবিত নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সিইও) নিয়োগেও অনুমোদন দেয়নি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা বোর্ড ভেঙে দিয়ে নিজেদের একজন কর্মকর্তাকে দৈনন্দিন পরিচালনার দায়িত্ব দেয়।

চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, এই অনিশ্চিত পরিবেশের কারণে নতুন কোনো বিনিয়োগকারী আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আদালতের নিষেধাজ্ঞা এবং প্রশাসনিক অস্থিরতা কৌশলগত অংশীদারদেরও নিরুৎসাহিত করেছে।

চিঠির শেষাংশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, যদি দ্রুত বিনিয়োগ সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তাহলে ২০০৮ সালের চুক্তিকে বাতিল বলে ঘোষণা করে আইসিবি গ্রুপ তাদের ৩৫০ কোটি টাকার বিনিয়োগ ফেরত ও ক্ষতিপূরণ দাবি করবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।

চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন-এর কাছেও।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরইফ হোসেন খান এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি চিঠির বিষয়ে অবগত নন এবং বিরোধ এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে