ঢাকা, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক: “দুই পক্ষই জিতেছে”

২০২৫ জুন ১৩ ২১:৫২:৫৩
ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক: “দুই পক্ষই জিতেছে”

নিজস্ব প্রতিবেদক: লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক বৈঠকটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। দেশের একাধিক বাম দলের নেতারা এই বৈঠককে ইতিবাচকভাবে দেখছেন এবং তাদের মতে, এটি সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিদ্যমান মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব কমিয়ে আস্থার এক নতুন পরিবেশ তৈরি করেছে। এই বৈঠক দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনে অনুষ্ঠিত এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মন্তব্য করেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের ফলে "দুই পক্ষই জিতেছে।"

তিনি মনে করেন, এই আলোচনার মাধ্যমে উভয়পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিদ্যমান বিভেদ, সন্দেহ ও অবিশ্বাস অনেকটাই কমে এসেছে। সাইফুল হক আরও বলেন, "নাটকীয় কিছু না ঘটলে এই ঐকমত্য দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে," যা দেশের স্থিতিশীলতার জন্য একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এই দুই নেতার বৈঠককে 'ইতিবাচক' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে তিনি নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে একটি স্পষ্ট তারিখ ঘোষণার উপর জোর দিয়েছেন।

সাকি আরও উল্লেখ করেন, শুধুমাত্র নির্বাচনই নয়, এর পাশাপাশি দেশের শাসনব্যবস্থা ও বিচার প্রক্রিয়ার সংস্কারের বিষয়েও আলোচনা এবং সেগুলোর অগ্রগতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার মতে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য এই সংস্কারগুলো অপরিহার্য।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে একটি জোরালো দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "ফেব্রুয়ারি নয়, ডিসেম্বরের মধ্যেই সব ধরনের সংস্কারের উদ্যোগ ও বিচার সম্পন্ন করে নির্বাচন দেওয়া সম্ভব।"

প্রিন্স সতর্ক করে দেন যে, যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হয়, তাহলে দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটবে না এবং স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে না। তার এই মন্তব্য দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিকে আরও জোরালো করেছে এবং এটি দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

লন্ডনের এই বৈঠক এবং এর পরবর্তী বাম দলগুলোর প্রতিক্রিয়া ইঙ্গিত দেয় যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি পরিবর্তনের বাতাস বইতে শুরু করেছে। এই বৈঠকটি কেবল দুটি প্রধান রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে আলোচনার পথ উন্মুক্ত করেনি, বরং এটি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যের সম্ভাবনাও তৈরি করেছে, যা দেশের গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতার জন্য জরুরি।

মারুফ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে