ঢাকা, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

গোপন কক্ষে বৈঠক, আদালতে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি

২০২৫ মে ২৭ ১০:৩৮:৪৫
গোপন কক্ষে বৈঠক, আদালতে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা এসএম শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল অন্তত দুটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ। হত্যাকাণ্ডের পর অভিযুক্তরা পালিয়ে যায় কক্সবাজারে। সোমবার (২৬ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালতে আসামি মো. রিপন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য জানান।

রিপন আদালতে বলেন, “হত্যার পর আমি মূল হামলাকারীকে মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মন্দির গেটে পৌঁছে দিই। এরপর অন্য একটি গ্রুপ তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। পরে সবাই মিলে কক্সবাজারে চলে যাই।”

তার ভাষ্য অনুযায়ী, ৫ থেকে ৭ জন সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। এদের মধ্যে দুজন সরাসরি সাম্যকে আঘাত করে, বাকিরা চারপাশে নজর রাখে। জড়িতরা সবাই মাদক কারবারের সঙ্গেও যুক্ত বলে দাবি করেছেন রিপন।

রিপনের স্বীকারোক্তি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ। বিচারক মিনহাজুর রহমান জবানবন্দি রেকর্ড করার পর রিপনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অন্যদিকে, গ্রেফতার হওয়া আসামি সোহাগ, হৃদয় ইসলাম ও রবিনের সাত দিনের রিমান্ড এবং সুজন সরকারকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক মো. সাইফুজ্জামান সুজনকে কারাগারে এবং বাকি তিনজনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ১৪ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা এলাকা থেকে মো. তামিম হাওলাদার, পলাশ সরদার ও সম্রাট মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়। তাদের প্রথম দফায় ছয় দিনের ও দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। বর্তমানে তারা রিমান্ডে রয়েছে।

গত ১৩ মে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন ছাত্রদল নেতা সাম্য। পরে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পরদিন ১৪ মে সাম্যের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে এখন পর্যন্ত মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মুয়াজ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে